বগুড়ায় ১৩ দিন পর নিখোঁজ যুবকের পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার


সকালের বাংলা প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৩, ৩:৫০ অপরাহ্ন / ২৩০
বগুড়ায় ১৩ দিন পর নিখোঁজ যুবকের পুঁতে রাখা মরদেহ উদ্ধার

মোঃ এমদাদুল হক বগুড়া

 

বগুড়ায় নিখোঁজের ১৩দিন পর জমির ধারের ডোবাতে পুতে রাখা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।গতকাল শুক্রবার দুপুর একটার দিকে শাজাহানপুর উপজেলার খাদাস পশ্চিমপাড়া এলাকা থেকে এ লাশ উদ্ধার করা হয়।

 

নিহতের নাম সাগর ইসলাম(২৩)। তিনি ওই এলাকার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- খাদাশ পশ্চিমপাড়া এলাকার আবু মুছা(৩৮), মো: কালাম(২৬) এবং খাদাস আলুবাড়ী এলাকার বাবলু হোসেন(২৫)। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন পিবিআই বগুড়ার পুলিশ সুপার কাজী এহসানুল কবীর।

 

পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, ‘ গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে সাগরকে ডেকে নেয় আসামিরা। এ ঘটনায় ২৩ সেপ্টেম্বর সাগরের মা ঝর্না বেগম শাজাহানপুর থানায় সাধারণ ডায়েরী করেন। এরপর পিবিআই বগুড়াও সাধারণ তদন্ত শুরু করে। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় মুছা নামে এক আসামিকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে মুছা এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত এবং সাগরের মরদেহ কোথায় আছে তা জানায়। মুছার দেয়া তথ্যমতে আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার এবং সাগরের বাসার অদূরেই শুক্রবার দুপুরে জমির ধারের পাশে ডোবা থেকে সাগরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

পুলিশ সুপার আরও জানান, অপহরণ করে টাকা আদায় করার জন্য সাগরকে হত্যা করা হয়। প্রথমে তারা গামছা পেচিয়ে শ্বাসরোধ এবং পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাগরকে হত্যা করে মরদেহ পুঁতে রাখে। পরে গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে নিহত সাগরের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আমরা পলাতক আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রেখেছি এবং এ ঘটনা আরও অধিকতর তদন্ত করছি।

 

সাগরের চাচা রায়হান ইসলাম বলেন, ‘এলাকায় মাদক সহজেই পাওয়া যায়। এই এলাকাটা নষ্ট হয়ে গেছে। আমার ভাতিজার সাথে কারও কোন শত্রুতা ছিল না। আমাদের ধারণা মাদক সংক্রান্ত কোন জের ধরে সাগরকে তারা এই নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। আমরা জানের বদলে জান চাই।’নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ পরকীয়া অথবা মাদক সংক্রান্ত জের ধরে সাগরকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।’