สล็อตเว็บตรง สล็อตเว็บตรง สล็อต สล็อต สล็อตเว็บตรง สล็อตออนไลน์ บาคาร่า
สล็อตเว็บตรง สล็อตเว็บตรง สล็อต สล็อต สล็อตเว็บตรง สล็อตออนไลน์ บาคาร่า
বৈরী আবহাওয়া: বিদ্যুৎ নেই লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ এলাকায় - সকালের বাংলা
ঢাকাSunday , 15 September 2024
  • অন্যান্য
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খুলনা
  8. খেলাধুলা
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ঢাকা
  13. তথ‌্য-প্রযুক্তি
  14. পড়ালেখা
  15. বরিশাল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বৈরী আবহাওয়া: বিদ্যুৎ নেই লক্ষ্মীপুরের বেশিরভাগ এলাকায়

সকালের বাংলা
September 15, 2024 3:05 pm
Link Copied!

নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :

লক্ষ্মীপুর জেলায় বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এই লক্ষ্মীপুর জেলাটি ৫টি উপজেলা নিয়ে গঠিত। বৈরী আবহাওয়ার কারণে বৈদ্যুতিক লাইন ও খুঁটি বিধ্বস্ত হওয়ায় অন্ধকারে রয়েছে এ জেলার অনেক এলাকার বাসিন্দারা।

শুক্রবার দিবাগত গভীর রাত থেকে জেলার অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। কোথাও কোথাও সারাদিনে একবারের জন্যেও বিদ্যুৎ নেই আবার কোথাও কোথাও পৌর শহরে আসে কিছুক্ষণ থেকে আবার চলে যায়। লক্ষ্মীপুরে ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হলেও তার মধ্যে রয়েছে ৮ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। এখানেও বিদ্যুৎতের অনেক সমস্যা দেখা যাচ্ছে।

আবার কোথাও কোথাও দিনের বেলা বিদ্যুৎ এলেও রাতে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দারা।

আবার বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কও বন্ধ রয়েছে। অনেকের মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে না পারায় বন্ধ হয়ে গেছে।

বাসাবাড়িতে দেখা দিয়েছে ব্যবহৃত ও খাবার পানির সংকট। নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে ফ্রিজে থাকা মাছ-মাংস।

জানা যায়, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর এবং আরও ৪টি উপজেলাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে পল্লি বিদ্যুৎ সমিতি। তাদের গ্রাহক সংখ্যা প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ। বৈরী আবহাওয়া কারণে বিদ্যুৎ লাইন বিধ্বস্ত হওয়ায় সমিতির আওতাধীন চার লাখ মিটার সংযোগে থাকা ১২ লাখের বেশি লোকজন এখনো অন্ধকারে রয়েছে।
আর পৌর এলাকায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবির)।

শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল এবং সন্ধ্যার পর বিপিডিবির আওতাধীন পৌর এলাকার কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়।

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার যাদৈয়া গ্রামের গৃহবধূ শারমিন বলেন, তিনি পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহক। গত দুইদিন ধরে তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এতে খাবার ও পর্যাপ্ত পানির সংকট দেখা দিয়েছে। ফ্রিজের মালামাল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মোবাইল ফোনে চার্জ দিতে পারছেন না৷ এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কেও ঠিকমতো কথা বলা যাচ্ছে না। মোবাইল ডাটাও চালু হচ্ছে না। কারো সাথে কথা বলবে সে ব্যবস্থা হচ্ছে না বিদ্যুৎ না থাকার কারণে। বিদ্যুতের সমস্যাটা মনে হচ্ছে বড় ধরনের সমস্যা। একদিকে রয়েছে পানিবন্দী অন্যদিকে রয়েছি অন্ধকারে।

বিপিডিবির গ্রাহক পৌর এলাকার বাসিন্দা জান্নাতুল বলেন, শুক্রবার রাতে বিদ্যুৎ চলে যায়। রাতে কিছু সময়ের জন্য এলেও শনিবার ভোর রাত থেকে এখন পর্যন্ত (শনিবার রাত ১১টা) পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা মেলেনি। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় চরম দুর্ভোগে আছি।

লক্ষ্মীপুর পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান খান শনিবার রাত ১০টার দিকে বলেন, আমাদের সাড়ে পাঁচ লাখ গ্রাহক। চার লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন।

তিনি আরও জানান, টানা ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে বৈদ্যুতিক লাইন বিধ্বস্ত হয়ে আছে। গাছপালা পড়ে লাইন ছিঁড়ে গেছে। খুঁটি পড়ে গেছে। বন্যার কারণেও বৈদ্যুতিক লাইনের খুঁটি দুর্বল হয়ে গেছে। বৃষ্টির কারণে লাইন মেরামতের কাজে বিঘ্ন ঘটছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে লাইন মেরামত করে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক করা হবে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড লক্ষ্মীপুর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পরীক্ষিত শনিবার রাত ১১ টার দিকে বলেন, রামগঞ্জ এবং বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা ৩৩ হাজার কেভি লাইনের মধ্যে ত্রুটি ছিল। রামগঞ্জ গ্রিড থেকে এখন বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। বেগমগঞ্জ গ্রিড থেকে আসা লাইনে এখনো ত্রুটি আছে। আমরা শনিবার বিকেল ৩টার দিকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পেয়েছি। এরপর থেকে পর্যায়ক্রমে সবগুলো ফিডার চালু করতে সক্ষম হই। তবে লাইনের ওপর গাছের ডালপালা পড়ে থাকার কারণে কিছু কিছু লাইন ছিঁড়ে গেছে। ট্রান্সফার মারের ফিউজ জ্বলে গেছে। সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে। মেরামতের কাজ শেষ হলে পুরো এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। বৃষ্টিতেও আমাদের কর্মীরা কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।