আসামিরা হলেন- যশোর সদর শহরের নলডাঙ্গা রোডের তারাপদ দাসের ছেলে ও জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি দীপঙ্কর দাস রতন ও যশোর খালধার রোডের ফটিক চন্দ্র ঘোষের ছেলে ও পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তপন কুমার ঘোষ।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রহমত আলী অভিযোগের তদন্ত করে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ।

মামলার অভিযোগে  জানা গেছে, আসামিরা বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে আওয়ামী লীগের নেতা ও ক্ষমতাধর ব্যক্তি ছিলেন। গত২০২৪ সালের জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকার প্রধান দেশ ছেড়ে পলিয়ে যান। এরপর রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিকভাবে সংসদ বিলুপ্ত করে অন্তর্বর্তী সকরার গঠন করেন। আসামিরা এতে সন্তুষ্ট না হয়ে নতুন সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের বিদ্বেষ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র শুরু করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আসামিরা সরকারের বিরুদ্ধে ঘৃণা, সহিংসতা উসকে দেওয়ার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক হামলার মিথ্যা তথ্য দিয়ে লিফলেট তৈরি করে বিলি, সমাবেশে বক্তব্য ও সামাজিক মাধ্যম সহ মিডিয়ায় উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন।

আসামিরা গত ২০২৪ সালের ১২ই আগস্ট থেকে চলতি বছরের ১২ই এপ্রিল পর্যন্ত লিফলেট বিতরণ সহ বিভিন্ন মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন। তাদের এই এহেন কর্মকাণ্ডে দেশের সার্বভৌমত্ব, সংহতি ও শৃঙ্খলার প্রতি হুমকি স্বরূপ। দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র দৃষ্টিগোচর হওয়ায় তিনি আদালতে এই মামলা করেছেন বলে বাদী তার আর্জিতে জানায়।