ঢাকাTuesday , 17 September 2024
  • অন্যান্য
  1. অপরাধ
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আন্তর্জাতিক
  5. ইসলাম
  6. কৃষি সংবাদ
  7. খুলনা
  8. খেলাধুলা
  9. চট্টগ্রাম
  10. জাতীয়
  11. জীবনযাপন
  12. ঢাকা
  13. তথ‌্য-প্রযুক্তি
  14. পড়ালেখা
  15. বরিশাল
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সাভারে বহুল আলোচিত শিক্ষার্থী রোহান হত্যা মামলা ৩বছর পর সিআইডিতে হস্তান্তর! Pp

সকালের বাংলা
September 17, 2024 9:30 am
Link Copied!

হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভারে পুলিশের নানা নাটকীযতার পর অবশেষে আদালতের নির্দেশে সাভারের আলোচিত শিক্ষার্থী রোহান হত্যা মামলা সিআইডিতে হস্তান্তর।

 

ঢাকার সাভারের দশম শ্রেণির ছাত্র রোহানুল ইসলাম রোহান (১৯) হত্যাকাণ্ডের দীর্ঘ ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো কোনো ক্লু উদঘাটন হয়নি। ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আদালতের বিভিন্ন বারান্দায় ঘুরতে ঘুরতে অবশেষে সিআইডির কাছে মামলা হস্তান্তর করলেন আদালত।

 

উক্ত ভিকটিম রোহানের বাবা সোবাহান মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডে তিন বছর পেরিয়ে গেলেও বিচার পেলাম না। কয়েকজনকে আটক করা হলেও প্রধান আসামি তাকে আটক করা হয়নি। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে একটি মেয়ে জড়িত ছিলেন তাকে কেন আইনের আওতায় আনা হলো না। আর যারা আটক হয়েছে তারা জামিনে প্রকাশ্যে ঘুরে বেরাচ্ছে। আমার ছেলেকে কি কারণে হত্যা করা হয়েছে আজও এর কোন ক্লু পেলাম না। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি মামলা তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করি পিবিআই ও সিআইডির কাছে হস্তান্তর করার জন্য। আজ সিআইডির কাছে মামলা হস্তান্তর করেছেন আদালত। আমি ও আমার পরিবার এই মামলায় তদন্ত ও আমার ছেলের প্রকৃত খুনিদের বের করার জন্য তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি বরাবর আশা করছি দ্রুতই সঠিক ভাবে তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনবে।

 

সোবাহান মিয়া আরও বলেন,রোহানের শূন্যতা কিছুতে পূরণ হবেনা। রোহানের শোকে আমার স্ত্রী মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে গেছে। আমি বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় আমার ছেলে রোহান হত্যা মামলার তদন্ত ও বিচার কার্যকর হয়নি। আমাদের ছেলে হত্যার বিচার কার্যকর হলে হয়তো কিছুটা আমরা সান্তনা পাবো।

 

 

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ০৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে সাভার পৌরসভার ব্যাংক কলোনি এলাকায় মুড়ি মটকা রেস্তোরার সামনে রোহানুর ইসলাম রোহানকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে হৃদয় ও সিয়ামসহ আরও ২০-২৫ জন তরুণ। এ ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুস সোবাহান ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০-১৫ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডের কোন বিচার পাইনি নিহতের পরিবারের দাবি।