মোঃ এমদাদুল হক বগুড়া।
বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলার অস্থির কাঁচাবাজার,মাছ মাংস জনগনের ক্রয় ক্ষতার বাহিরে চলে গেছে। আর এর থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের নিকট নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের আহ্বান জানিয়েছেন সাধারন ক্রেতা।
উপজেলার বিভিন্ন কাঁচা বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রতি কেজি আলু ৫৫ টাকা, পেঁয়াজ ৮০ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, বেগুন ৬০/৭০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, কাঁচা মরিচ ২৪০ টাকা, আদা ২৪০ টাকা, রসুন ২৪০ টাকা, টমেটো ২৪০ টাকা, পালংশাক ৮০ টাকা সহ সকল কাঁচাপন্য আকাশছোঁয়া এবং মসুর কালার ডাল ১৩০/১৬০ টাকা কেজি,ছোলা ৯০ টাকা কেজি চিনি ১৪০ টাকা, মুরগির ডিম প্রতি হালি ৫৫ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারে প্রতি কেজি রুই মাছ ৪০০ টাকা, মনোসিক্স ৩০০ টাকা, টেংরা ৬০০ টাকা, কই ৪০০ টাকা, ছোট মাগুর ৬০০ টাকা, বাটা ৪০০ টাকা, পাঙ্গাস ৩০০ টাকা, সিলভার ও ব্রিগেড ৩০০ টাকা, গুচি ৮০০ টাকা, ছোট গলদা চিংড়ি ৮০০ টাকা, ছোট ইলিশ ছয়টায় কেজি ওজনের ৬০০ টাকা ও ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ মাছ কেজি ১২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও গরুর মাংস কেজি ৭০০/৭৫০টাকা,খাসি ৯০০ টাকা, কাটা ব্রয়লার মুরগি ২৬০ টাকা, পাকিস্থানি মুরগি ৪০০ টাকা, ক্যারেট ৪৫০ কাটা দরে বিক্রী হচ্ছে। এছাড়াও, ভোজ্যতেল যেমন খোলা সয়াবিন ১৯০ টাকা এবং প্যাকেট ও বোতলজাত সয়াবিন ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
তবে বিভিন্ন বাজার ভেদে পন্যের সরবরাহ ও চাহিদা অনুযায়ী ইচ্ছেমতো মূল্য নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা। যেমন নন্দীগ্রাম মাছের বাজারে গত হাটে শুধুমাত্র একজন মাছ ব্যবসায়ী কাছে ছিল ইলিশ মাছ ছিল আর এই সুযোগে আকারে ছোট হলেও প্রতি কেজি ৮০০ টাকা নির্ধারণ করে মাছ ব্যবসায়ী। অথচ কয়েক ঘন্টা পর একই বাজারে অন্য ব্যবসায়ী ইলিশ মাছ আমদানি করলে সেই ৮০০ টাকা কেজির একই ইলিশ মাছ বিক্রি শুরু করে ৫০০ টাকা কেজি দরে।
বাজারে আসা সাধারন ক্রেতার সাংবাদিকদের জানান,বাজার মূল্য তালিকা নাই দোকানে, বাজারে আমদানি ও চাহিদা অনুযায়ী পন্যের ইচ্ছেমত মূল্য নির্ধারণ করে ব্যবসায়ীরা আমদানি কম হলে কেজি প্রতি মূল্য ২০ থেকে ৩০ টাকা বাড়ানো হয়। একরকম ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি ক্রেতা সাধারন।
উক্ত বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুমায়ুন কবির বলেন,গতকালও বাজার মনিটরিংয়ে ছিলাম। বর্তমানে বাজার মনিটরিং জোরদারের বিষয়ে মিটিং চলছে।