মাহাবুব আলম,রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি।।
আমি কখনো ভাবিনা লুটপাট কিভাবে করা যায় কিভাবে নিজের ভাগ্যে পরিবর্তন করা যায়। আমি সব সময় আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়নের কথা চিন্তা করি।যদি টাকা কামানোর কথা চিন্তা করতাম তাহলে আমার উপরে তখন কার সময় কেউ বড় ব্যাবসায়ী ছিল না,সে সময় অনেক টাকা কামাতে পারতাম।আমি যখন ব্যাবসা করি তখন আমার বয়স ৩৫ বছর। সে সময় জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান মরহুম এরশাদ সাহেব আমাকে জোর করেই রাজনীতিতে নিয়ে এসে ছিলেন।আর তাই হয়তো আজ এই সব দৃশ্যমান উন্নয়ন করতে পেরেছি।
এবং কি আমি এটাও বলতে পারি রাণীশংকৈল পীরগঞ্জে কোন রাস্তা কতটুকু পাকা হয়েছে আর কি পরিমাণ কাঁচা আছে। আমার জানা আছে কোন রাস্তার আইডি নাম্বার কত।আমি চলতি বছরের গত ৭ ফেব্রæয়ারিতে উপনির্বাচনে জয়লাভ করে এই ৯ মাসেই যে চমক দেখিয়েছি সেটা আর কারো দাড়া সম্ভব না।আপনারা দীর্ঘ নয় বছরে যা উন্নয়ন দেখতে পারেননি আমি সেটি নয় মাসে করে দেখিয়েছি।
এই নয় মাসেই এমন কোন ইউনিয়ন নাই, যেখানে নতুন পাকা রাস্তার নির্মাণের কাজ শুরু হয় নাই।প্রায় সব ইউনিয়নেই নতুন রাস্তার কাজ শুরু করেছি।আমি নয় মাসের দুই কোটি সরকারি বরাদ্দের টাকা অনেক মসজিদ,মন্দির, মাদরাসা সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়েছি ৫০-৬০ টি অজুখানার করে দিয়েছি।তাই আগামী ৭ জানুয়ারি আবার যদি আমাকে লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে জয় যুক্ত করেন তাহলে এবার একটা রাস্তাও কাঁচা রাখবো না।
এমপি হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ আরো বলেন, আপনাদের একটা শীল একটা এলাকার ভাগ্যের উন্নয়ন। ভোট দিতে না গেলে এমন একজন ব্যক্তি নির্বাচিত হবে যে এখনো নিজের এলাকায় চিনেনা তাহলে তাকে দিয়ে কি উন্নয়ন হতে পারে আগামী ৫ বছরে। যে এলাকার রাস্তা ঘাট চিনে না। তবে আমি এই নয় মাসেই রাণীশংকৈলের কুলিক নদীর উপরে আরো তিন টি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বড় ব্রিজ নির্মাণ করার কথা চিন্তা করেছি এবং কাগজপত্র সব জমাও দিয়েছি ইনশাআল্লাহ আশা করি হয়ে যাবে।
গতকাল শুক্রবার (২৯ডিসেম্বর) রাতে রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে বিভিন্ন পথ সভা ও লেহেম্বা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জনসভায় জাতীয় পার্টির নির্বাচনী দ্বাদশ সংসদের নির্বাচনী সভায় এসব কথা বলেছেন ঠাকুরগাঁও ৩ আসনের এমপি জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ।
এ সময় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহবায়ক আবু তাহের, প্রেসক্লাব সভাপতি মোবারক আলী, সম্পাদক মো.বিপ্লব,ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি আখতারুল ইসলাম, সম্পাদক শাহ আলম সহ উপজেলার ইউনিয়ন ওয়ার্ড বিভিন্ন পদে থাকা নেতা কর্মী বৃন্দ ও প্রায় ১ হাজার ভোটার বৃন্দ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। বক্তরা সকলকে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে লাঙ্গল মার্কার পার্থী হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করেন।