গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন, হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক ২০২৪ এর দিনাজপুর জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বাংলাহিলি ১ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ মহিদুল ইসলাম জেলা পর্যায়ে আবারও শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক মনোনীত হয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা প্রশাসক এর কার্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও বাছাই কমিটির সভাপতি সোহাগ চন্দ্র সাহা এর সভাপতিত্বে এক স্বাক্ষাৎ কার অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাক্ষাৎকার ১০০ নম্বরের ২৩ কলামের মূল্যায়ন ছকে মূল্যায়ন করা হয়। দেখা যায় শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা,ব্যক্তিগত পারদর্শিতা,তাদের নিজস্ব প্রকাশনা,স্থানীয়/ জাতীয় প্রত্রিকায় প্রকাশিত প্রবন্ধ/ কবিতা/ ছড়া, শ্রেণিকক্ষে ডিজিটাল কন্টেন্টের ব্যবহার,শিক্ষকের বিভিন্ন কলাকৌশল,স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে জানাশুনা,পেশাগত দক্ষতা,প্রশ্ন তৈরির দক্ষতা,বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুর প্রতি পাঠদান পদ্ধতি,শিক্ষার্থীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি,ঝরে পড়া হার রোধে নিয়মিত হোম ভিজিট, উপস্থিতি বৃদ্ধিতে শিক্ষকের বিশেষ ভূমিকা,শিক্ষকের ইনোভেশন, শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল কাজে উদ্ধুদ্ধকরণ বিদ্যালয়ে উন্নয়নমুলক কাজে সহায়তা করা প্রভৃতি বিষয়ে যাচাই বাছাই করে মহিদুল ইসলামকে জেলা শ্রেষ্ঠ সহকারী শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত করে আজ শুক্রবার সকালে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
তিনি শিক্ষক বাতায়নের ( এটুআই) হাকিমপুুর উপজেলার একমাত্র জেলা অ্যাম্বাসেডর। তিনি করোনা কালিন সময়ে দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকাকালীন সময়ে কখনও বসে থাকেননি। প্রতিদিন ঘরে বসে শিখি,হাকিমপুর অনলাইন প্রাইমারি স্কুল,দিনাজপুর অনলাইন প্রাইমারি স্কুল,সারাবাংলা অনলাইন প্রাইমারি স্কুলে নিয়মিত অনলাইনে ক্লাস নিতেন।
এছাড়াও তিনি জুম প্লাটফর্মে,ফেসবুক লাইফ, ক্লাসসহ গুগল মিটে ৫ শতাধিক ক্লাস নিয়েছেন। তিনি একজন গণিত অলিম্পিয়ার্ডের মাস্টার ট্রেনার, গণিত অলিম্পিয়াড কৌশল ব্যবহার করে ক্লাস নিয়ে থাকেন। তিনি বিষয় ভিক্তিক বাংলা, ইংরেজি, গণিত,বিজ্ঞান,বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, সংগীত, চারুকলা,শারীরিক শিক্ষা বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। এছাড়া তিনি উপজেলা কাব স্কাউট লিডার। ইউনিট লিডার হিসেবে তার বিদ্যালয়ে স্কাউটিং কার্ষক্রম বেশ সক্রিয়। গত ২০২২ সালের শাপলা কাব অ্যাওয়ার্ড জাতীয় পর্যায়ের মূল্যায়নে তার ইউনিটের ১০ জন কাব অংশ গ্রহণ করেন। স্কুলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানের পাশাপাশি অবসরে তিনি স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবীমুলক কাজে সম্পৃক্ত। তিনি গরীর মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে সহায়তা করে থাকেন। ২০১৯ সালে তিনি জেলা শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর শখ কবিতা, ছোটগল্প,প্রবন্ধ লেখা। সরকারি ছুটির দিনগুলোতে দর্শণীয়স্থান ভ্রমণ করা। মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা বাস্তবায়নে তিনি একজন নিবেদিত প্রাণ। বিভিন্ন জাতীয় দিবসে তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্ধৃদ্ধ করে প্রতিযোগিতামুলক কর্মসুচিতে অংশ গ্রহণ করে পুরস্কার অর্জন করে দিনদিন বিদ্যালয়ের সুনাম বৃদ্ধিও করে চলছেন। ২/৩ দিনের মধ্যেই তিনি রংপুর বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহন করবেন। তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রার্থী।