সরদার কালাম এস’কে’পি।
গ্রাহক ভোগান্তির এক রাক্ষসী যন্ত্র- আলাউদ্দিনের চেরাগ নামক ডিজিটাল – প্রিপেইড মিটার, যা বাজারে এনে অনিয়মের মাধ্যমে জনগণের টাকা লুটে নিচ্ছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
আলাউদ্দিনের চেরাগ নামক এই গ্রাহক ভোগান্তির যন্ত্র বৈদ্যুতিক ডিজিটাল মিটারে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ বনে যাচ্ছে টাকার কুমির আর তাদের ভুতুড়ে বিলে গ্রাহকদের হতে হচ্ছে সর্বশান্ত।
ভোগান্তির চরম পর্যায়ে গ্রাহকরা এখন এনালগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ফিরতে চান।বিদ্যুতের ভৌতিক মিটারের নানা ভোগান্তি থেকে মুক্তি পেতে চান তারা।
সাতক্ষীরা কলারোয়ার ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা বিদ্যুতের ডিজিটাল ডাকাতি থেকে এনালগ বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় ফিরে যেতে চান।
ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ স্লোগানে_বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়নের লক্ষ্যে বিগত আ. লীগ সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সংযোগ বৃদ্ধি করা হয়।
আর সেখানে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি যৌথ উদ্যোগের সুযোগ হিসেবে এনালগ মিটার পরিবর্তন দেখিয়ে ডিজিটাল নামে ভৌতিক মিটারের বিদ্যুৎ সংযোগ বাড়াতে থাকে।কিন্ত নতুন এই সংযোজন দেশের জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাহকদের সুবিধার চেয়ে বাড়িয়েছে ভোগান্তি।
ধারণা করা হচ্ছে এ ভোগান্তি থেকে রেহাই পাইনি দেশের কোনো জেলা উপজেলা।
অভিযোগের সুরে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার ভুক্তভোগীদের এমন নানাসব ভোগান্তির কথা সোস্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরতেও দেখা যায়।
এবার একই সুরে ভোগান্তির কথা তুলছেন উপজেলার দেয়াড়াসহ অন্যান্য ইউনিয়নের আবাসিক বানিজ্যিক মিটারে ভুক্তভোগী গ্রাহকেরা।
তারা মনে করেন এমন ডাকাতি সারা দেশেই চলমান রয়েছে আর নিরব যন্ত্রণা ভোগ করতে হচ্ছে তাদের মতো দেশের অন্যান্য সাধারণ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের।ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ বলছেন, বর্তমান সরকার উপদেষ্টারা দেশের নানা কিছু পরিবর্তন ও সংস্কার নিয়ে গলাফাঠানো আলাপ বার্তা জানালেও আজও পর্যন্ত সাধারণ মানুষের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ও ভুক্তভোগী গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের এই ডাকাতিকান্ড পরিবর্তনে কোনো আশানুরূপ কথা বলতে শোনা যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে,ভুতুড়ে বিলসহ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা মিটারে বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ থাকলেও চার্জ হয়ে থাকে এমন নানা ভৌতিক কান্ডে ভোগান্তিতে অস্থির হয়ে পড়েছেন তারা।
এমন সব নানা কারণে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা এই ডিজিটাল উৎপাত থেকে রেহাই পেতে নির্ভেজাল জীবনের আশায় ফের এনালগে ফিরতে চাচ্ছেন।গ্রাহকদের প্রায় সকলেরই অভিযোগ আগের এনালগ মিটারের তুলনায় আজকের পদ্ধতি মোটেও গ্রাহক বান্ধব নয়।
ডিজিটাল শোষণের এই পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক মিটারের নানা চার্জে বিরক্ত তো হচ্ছেনই পাশাপাশি ভুতুড়ে বিলে অতিষ্ঠ হচ্ছেন তাঁরা।
একপ্রকার গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আজকের বিদ্যুতের ভৌতিক মিটার।ভুক্তভোগীদের দাবি,সর্বনাশা এ যন্ত্রের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল দিনে দিনে তাদের সর্বশান্ত করে ফেলছে।
তাদের মতে এগুলো গ্রাহকদের ঘরে পল্লী বিদ্যুতের দিনে দুপুরে ডাকাতির সামিল।কেউ কেউ ঝামেলামুক্ত থাকতে এনালগ পদ্ধতিতে ফিরে যেতে বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করলেও কোনো সমাধান পাচ্ছে না বলে জানান।
এদিকে আঞ্চলিক বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্টদের থেকেও বলা হচ্ছে অফিসে ডিজিটাল মিটার চালু হওয়ায় এনালগ মিটার শুন্যতা দেখা দিলে এখন আর আগের পদ্ধতিতে ফিরে যাওয়া সহজে সম্ভব নয়।মিটারের সমস্যা হলে তার সমাধানের জন্য অফিসে আবেদনের মাধ্যমে অপেক্ষা করে দেখা যেতে পারে বলে গ্রাহকদের উদ্দেশ্য করে জানান কলারোয়ার বিদ্যুৎ অফিস সংশ্লিষ্ট এক মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা।
তবে গ্রাহকদের এসব অভিযোগের বিষয়ে ভিন্নমতও পোষণ করেছেন এসব বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্টরা।
তাদের দাবি, বিদ্যুৎ ব্যবহার ও চার্জ অনুযায়ী বিল ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে গ্রাহকদের কাছে কিন্তু গ্রাহকরা এসব নিয়ে অহেতুক বিতর্ক করে আসছেন।
তাদের মতে গ্রাহকরা ইচ্ছা করলে এখন সহজে এনালগ মিটারে ফিরতে পারবে না।
এটি রাষ্ট্রীয় ও উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত।গ্রাহকদের এ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার পর্যায়ে আলোচনা চলছে বলেও মনে করেন তারা।তবে এনিয়ে আদৌ আলোচনা হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত ভাবে জানা যায় নি।
এদিকে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ ও দাবিতে অনড় থেকে এই ডিজিটাল উৎপাত থেকে রেহাই পেয়ে নির্ভেজাল জীবনের আশায় ফের এনালগে ফিরতে চাচ্ছেন।এনিয়ে পল্লী বিদ্যুত ও সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জরুরী পদক্ষেপের দাবি জানান তাঁরা।।