হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ভাদাইল, পাবনারটেক রূপায়ন আবাসন-১ এর মাঠ এবং ইয়ারপুর ইউনিয়নের জামগড়া এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের মাদক সন্ত্রাস ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, এসব অঞ্চলে দেহব্যবসা, মাদক ব্যবসা, জুয়া ও চাঁদাবাজির মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড চলছে।
এছাড়া, পোশাক শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনাও ঘটছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এসব এলাকায় প্রায় ৫০০ কিশোর গ্যাং সদস্য সক্রিয় রয়েছে।
তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত এবং এক গ্রুপের সঙ্গে অন্য গ্রুপের সংঘর্ষ প্রায়ই ঘটে।
অনেক সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ও গুলাগুলির ঘটনাও ঘটে। এসব সংঘর্ষে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং তাদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
ধামসোনা ইউনিয়ন বিএনপি নেতা হেলাল উদ্দিন এবং ইয়ারপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী ও বিএনপি নেতা হাজী খন্দকার তোফাজ্জল হোসেন বলেন, “এলাকায় কিশোর গ্যাংয়ের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
তারা মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত। স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ ছাড়া এ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়।”
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী ও সচেতন মহল।
তারা দাবি করেছেন, কিশোর গ্যাং ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হোক।
স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সচেতন এবং অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত।
আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, “আমরা এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছি। কিশোর গ্যাং ও মাদক সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
এলাকাবাসী আশা করছেন, দ্রুত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর পদক্ষেপে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে এবং কিশোর গ্যাংয়ের অত্যাচার থেকে মুক্তি মিলবে।