বিশেষ প্রতিনিধিঃ ঢাকার আশুলিয়ায় চাঁদার দাবিতে চা দোকানী সৈনিক ইসলাম শাহিনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেছে সন্ত্রাসীরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি২০২৫ইং) দুপুরে আশুলিয়ার গোরাট এলাকার ফুল বাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ আহত সৈনিক ইসলাম শাহিন নীলফামারী জেলার ডিমলা থানার লাউতলা এলাকার আব্দুল লতিফের ছেলে। সে গোরাট এলাকায় পরিবারসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের আশুলিয়া থানার আহ্বায়ক জিল্লুর মাষ্টারের ভাড়া বাসায় থেকে চায়ের দোকানদারী করে জীবিকা নির্বাহ করে।
গুলিবিদ্ধ সৈনিক ইসলাম শাহিনের মা নাজমা বেগম জানান, স্থানীয় যুবলীগের লোক আকাশ, আসিক, সজীব, পারভেজ ও তৈয়বসহ ৮/১০জন সন্ত্রাসী প্রতিনিয়ত পোশাক কারখানার সামনে প্রত্যেক দোকান থেকে প্রতিদিন ৫০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। চাঁদা না দিলে দোকানদারদের বেদম মারধর করে।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে আকাশ, আশিক, তৈয়ব, পারভেজসহ ৮-১০জন প্রত্যেক দোকান থেকে চাঁদা আদায় করছিল। এ সময় সৈনিক ইসলাম শাহিন চায়ের দোকানে চা বিক্রি করছিল।
চাঁদাবাজরা প্রতিদিনের মতো সৈনিক ইসলাম শাহিনের কাছে ৫০ টাকা চাঁদা চাইলে সে টাকা দতে অস্বীকার করে, এতে সন্ত্রাসীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে। একপর্যায়ে সে দৌড় দিলে তৈয়ব নামের এক সন্ত্রাসী তাকে পিছন থেকে গুলি করে। এই গুলিতে শাহিনের বাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সে পাশের একটি বাড়িতে আশ্রয় নেয়, সন্ত্রাসীরা তাকে ধরতে গেলে একটি ভবনের তৃতীয় তলা থেকে লাফিয়ে পড়ে ভিকটিম, তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে স্থানীয়রা থানায় সংবাদ দিলে আশুলিয়া থানা পুলিশের তদন্ত (ওসি) কামাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করা হয়।
এ ব্যাপারে নারী শিশু হাসপাতলের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলেন, গুলিবিদ্ধ সৈনিক ইসলামকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুলি বের করার জন্য ঢাকার হাসপাতালে রেফার করা হয়েছ।
আশুলিয়া থানার ওসি তদন্ত কামাল হোসেন জানান, গুলিবিদ্ধ চা দোকানে সৈনিক ইসলামকে আশুলিয়ার নারী ও শিশু হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সে পরিদর্শন করেছেন।
এ ঘটনায় এখনো সন্ত্রাসীদের কাউকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশী অভিযান চলছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, এ এলাকায় যুবলীগ সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত অস্ত্র নিয়ে মহড়া দিয়ে চাঁদা তোলে, সবাই ভয়ে দাবিকৃত চাঁদা দিয়ে দেন। এদের ভয়ে কোন ব্যবসায়ী কোন কথা বলতে পারেন না।
ব্যবসায়ীরা এ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক বিচারের দাবি জানান।
বিবাদীদের পক্ষ থেকে জানানো হয় পূর্বের শক্রতার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এলাকাবাসী জানায়, মাদক ব্যবসা নিয়ে এই ঘটনা ঘটেছে।