হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন কাইচাবাড়ি এলাকার মোঃ গফুর মন্ডলের বাড়ি থেকে স্বামী স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছেন আশুলিয়া থানা পুলিশ। বাড়ির লোকজন ও পুলিশ জানায়, কাইচাবাড়ি এলাকায় সাবেক স্ত্রী মীম (২১) কে কুপিয়ে হত্যা করার পর তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে এমনই ধারণা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে নারী ও পুরুষ দুইজনের লাশ উদ্ধার করেছেন পুলিশ।
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি ২০২৪ইং) দুপুর ২টার দিকে আশুলিয়ার কাইচাবাড়ি এলাকার গফুর মন্ডলের বাড়ির ২য় তলা ভবনের একটি কক্ষে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত স্ত্রী মীম এর সাবেক স্বামী মোঃ নাঈম মিয়া (৩০) , সে নাটোর জেলার গুরুদাসপুর থানা মকিনপুর এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে এবং তার নিহত স্ত্রী মীম নওগাঁ জেলার বদরগাছী থানার খোকসাবাড়ি এলাকার মোংলা সরদারের মেয়ে। নিহতদের পরিবারের সদস্যদের দাবী এই দম্পতির প্রায় দেড় বছর আগে তালাক হয়।
পুলিশ জানায়, দেড় বছর আগে মোছাঃ মীম ও নাঈম দম্পতির তালাক হয়েছে। পরবর্তীতে নাঈম আবার মীমকে বিয়ে করার জন্য বারবার চাপ দেয়। প্রায়ই নাঈম তার সাবেক স্ত্রী মীমকে বিরক্ত করতো, একপর্যায়ে নাঈম মঙ্গলবার দুপুরে মীমের ভাড়া বাসায় আসেন। ওই বাসায় তাদের মধ্যে তর্ক বিতর্ক হয়, একপর্যায়ে হাতাহাতি হয়। ধারণা করা হচ্ছে, তালাক দেওয়া সাবেক স্বামী নাইমের মীমের উপর আগে থেকেই ক্ষোভ ছিলো। সেই ক্ষোভের কারণেই মীমকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে নাঈম। এরপর নাইম ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করা হয়।
নিহত মীম এর রুমমেট মোছাঃ নাতাশা গণমাধ্যমকে বলেন, নাঈম এর আগেও একদিন বাসায় এসেছিলো, তাকে মীম তাড়িয়ে দিয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হঠাৎ করে আমাদের রুমে আসে নাঈম। তাদের দুইজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়, একপর্যায়ে নাইম ছুরি দিয়ে মীমকে আঘাত করার চেষ্টা করে, এসময় আমি চিৎকার দিয়ে বাসার নিচে গিয়ে লোকজন জড়ো করি, লোকজন নিয়ে এসে দেখি মীমকে নাঈম মেরে ফেলেছে। নাঈম নিজেও গলায় ফাঁসি দিয়ে মরেছে।
আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ এফ এম সায়েদ গণমাধ্যমকে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে প্রাথমিক ভাবে সুরতহাল করা হচ্ছে, ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদ এর বাড়ি থেকে ববিতা নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেন আশুলিয়া থানা পুলিশ।