হেলাল শেখঃ ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার তাজপুরের মোঃ মোবারক মোল্লার ছেলে মোঃ আবুল হোসাইন নামের একজনের ব্যাংকের হারানো একটি চেক দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ডিজঅনার করার ঘটনা ফাঁস-থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
শনিবার (১৪ জুন ২০২৫ইং) আশুলিয়া থানায় অভিযোগকারী ভুক্তভোগী আবুল হোসাইন গণমাধ্যমকে জানান, আমি আশুলিয়া থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। সিরাজুল ইসলাম (৩৫),পিতা-মজিবুর রহমান, মাতা-রহিমা বেগম,সাং-ধনাইদ,থানা-আশুলিয়া, জেলা-ঢাকা, ২। মো: জাহাঙ্গীর হোসেন (২৮), পিতা- মো: মজিবুর রহমান, মাতা- মোসা: আবেদা বেগম কল্লানী, সাং-তাজপুর, থানা-আশুলিয়া, জেলা- ঢাকা দ্বয়ের বিরুদ্ধে এই মর্মে লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি ডাচবাংলা ব্যাংক পিএলসি আশুলিয়া শাখায় চুরি করি। ডাচবাংলা ব্যাংক পিএলস সোনারগাঁও জনপথ উত্তরা শাখার আমার একাউন্ট নং-১৯৯১০১০০১১৪৮৪ এর চেক নং-০৮২৯৩১০ গত ইং- ০৩/০৩/২০২০ তারিখে হারানো গিয়াছে।
তিনি বলেন, আমার চেক হারাননোর বিষয়ে আমি আশুলিয়া থানায় থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি, সাধারণ ডাইরি নং-৪২৩, তাং-০৫/০৩/২০২০ইং। পরবর্তীতে ১নং বিবাদী আমাকে জানায়, আমার চেকটি তাহার কাছে আছে। আমার কাছে ৫,০০,০০০/-টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে চেক ডিজঅনার করিয়া আমার বিরুদ্ধে মামলা দিবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। আমি তাহাকে টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় উক্ত বিবদিী চেকটি ডিজঅনার করায় গত ইং-২১/০৮/২০২৩ তারিখে আমার নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করিয়াছে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর একই
চেক দ্বারা ২নং বিবাদীও একই কায়দায় ৫,০০,০০০/- টাকা দাবী করে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় চেকটি তিনিও ডিজঅনার করাইয়া গত ইং-২৬/০৫/২০২৫ তারিখে আমার নামে লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করে। টাকা না দিলে তিনিও আমার নামে মামলা দেওয়ার হুমকি প্রদান করে। আমার হারানো চেকটি বিবাদীরা পাইয়া আমার নিকট হইতে কৌশলে ৫,০০,০০০/- টাকা চাঁদা দাবী করে তা আদায় করার চেষ্টা করিতেছে। আমার ধারণা বিবাদীরা পরস্পর পরিচিত ও তাদের যোগসাজসে একই চেক দ্বারা তাহারা দুই জনেই ডিজঅনার করাইয়া আলাদা আলাদা সময়ে লিগ্যাল
নোটিশ প্রদান করে আমার নিকট হইতে টাকা আদাইয়ের চেষ্টা করিয়া টাকার জন্য আমাকে বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করিতেছে। আমি আইনের প্রতি সম্মান জানিয়ে আশুলিয়া থানায় জিডি ও অভিযোগ দায়ের করেছি, পুলিশ অফিসার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলে আমি আশাবাদী।
গত বুধবার (১১ জুন ২০২৫ইং) উক্ত আশুলিয়া থানার অভিযোগের ১নং বিবাদী সিরাজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার কাছে ৫ লাখ টাকার একটা চেক আছে, আমি আবুল হোসাইনের কাছে এখন ৩৫ হাজার টাকা পাবো। ২নং বিবাদী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে মোবাইল ফোনে কল করে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি গাড়িতে আছি পরে কথা বলবো।
শনিবার আশুলিয়া থানার (এসআই) জাহাঙ্গীর বলেন, আবুল হোসাইন নামের একজনের একটি অভিযোগ পেয়েছি, ব্যাংকের চেকের বিষয় তাই বাদী চাইলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।