হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ফকিরবাড়ি এলাকার মোঃ মেহেদী’র ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলার একটি রুমে একই পরিবারের ৩জনকে গলাকেটে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ, র্যাব ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং) দিবাগত রাত ১১টার দিকে ঢাকার আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের স্থানীয় মোঃ মেহেদী’র ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলার একটি রুমে গলাকাটা অবস্থায় তিন জনের লাশ পাওয়া যায়। উক্ত বাড়ির ভাড়াটিয়া মোঃ হারুনুর রশিদ বলেন, বাসায় হঠাৎ করে পঁচা গন্ধ বের হচ্ছে এমন অবস্থায় লোকজনের সন্দেহ হলে তারা পুলিশকে খবর দেন। এরপর রুম খোলে দেখা যায়, তিনজনের গলাকাটা লাশ পড়ে আছে খাঁটের উপর।
আশুলিয়ায় ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নিহত ভিকটিম মোঃ মোক্তারুল ইসলাম ওরফে বাবুল হোসেন (৪৫), তার নিহত স্ত্রী মোছাঃ সাহিদা (৪০) তাদের ছেলে মেহেদী হাসান (১৩) এর গলাকাটা লাশ খাঁটের উপর পড়ে আছে। নিহতদের পরিচয়পত্রের সূত্রমতে, তাদের গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার কোষারানীগঞ্জ গরুরা। তারা দম্পতি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় এক বছরের বেশি সময় উক্ত বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, সাথে স্কুল পড়–য়া ১৩ বছরের ছেলেটিও থাকতো। পুলিশ ধারণা করছেন হয়তো ৩ থেকে ৪দিন আগে ভিকটিম দম্পতি ও শিশু ছেলেটিকে হত্যা করা হতে পারে। এ বিষয়ে জানতে ঘটনাস্থল বাড়িওয়ালাকে পাওয়া যায়নি। সেই সাথে ওই ওয়ার্ড মেম্বার মইনুল ভুঁইয়া’র সাথে যোগাযোগ করে তাকেও পাওয়া যায়নি।
আশুলিয়া থানার উপ—পরিদর্শক (এসআই) জোহাব আলী বলেন, লাশ ৩টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানী ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠানো হবে। এসপি স্যার ঘটনাস্থলে আসতেছেন, আমরা কোনো বক্তব্য দিতে পারবো না।
র্যাব—৪ সিপিসি—২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট রাকিব মাহমুদ খান বলেন, আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের ফকিরবাড়ি ৬তলা ভবনের ৪র্থ তলায় এক ফ্লাটে বাসায় দম্পতি ও তাদের ছেলেসহ একই পরিবারের তিজনকে দুবৃর্ত্তরা নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করেছে, এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা চেষ্টা করছি অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদেরকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করতে পারবো। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের লাশ ঘটনাস্থলেই রয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার সাহেব আসার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে পুলিশ জানায়। উক্ত হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানা যায়নি।পর্ব—১।