হেলাল শেখঃ ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বন্ধুপ্রতিম সংগঠন ‘ ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ সেন্টার (আইবিএফসি) এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হলেন বিশিষ্ট লেখক-সাংবাদিক আশরাফ সিজেল। আইবিএফসি এর প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শুভাশীষ সমদ্দার ও সংগঠনের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মনোনয়নক্রমে তাকে এ পদে অধিষ্ঠিত করা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত করায় সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন আশরাফ সিজেল।
উল্লেখ্য, আইবিএফসি দীর্ঘদিন ধরে ভারত-বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন কাজ করে যাচ্ছে। আর্থসামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখার পাশাপাশি দুই দেশের শিল্প ও সংস্কৃতি বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। আশরাফ সিজেল একাত্তর টেলিভিশনের রাজধানীর উপকন্ঠ সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের নিজস্ব প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৭ সালে দৈনিক ভোরের কাগজ পত্রিকার ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের প্রতিনিধি হিসেবে সাংবাদিকতা শুরু করে। একই সাথে গফরগাঁও সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ছিলেন। নব্বই দশকে শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি ছিলেন।
স্থানীয় প্রেসক্লাবের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০১ পরবর্তী সময়ে দেশে বিএনপি-জামায়াতের সহিংশতার সংবাদ পরিবেশনের জন্য একাধিক মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হতে হয় তাকে। শুধৃু তাই নয়, ওই সময় দীর্ঘদিন কারাবরণও করতে হয়েছে। এসময় ময়মনসিংহ অঞ্চলের নির্বাচনী নানা সহিংশতার তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করেন তিনি। এরপর বাংলাদেশ প্রতিদিন, এশিয়ান, দীপ্ত টিভি, বাংলা ট্রিবিউন, ঢাকা ট্রিবিউন হয়ে ডিবিসি নিউজের ময়মনসিংহ ব্যুরোর স্টাফ রির্পোটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সংবাদে জামায়াতের আমীরকে হাইকোর্টে তলব করে বিচারপতি সেন্ড হিম টু পাকিস্থান ঘোষণা করেন।
এছাড়া পাকিস্থানের সাবেক গর্ভনর কুখ্যাত রাজাকার মোনায়েম খানের মেয়ের স্কুল ও কলেজে পাকিস্থানপ্রীতির অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন করার পর সরকার ওই স্কুল বন্ধ করে দেন। তৎকালীন হাওয়া ভবনের আর্শীবাদপুষ্ট পুলিশের আলোচিত বিতর্কিত কর্মকর্তা এসপি কোহিনুরকে নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেন।
এছাড়া জাগরণী, দিন বদলের সনদ নামে সংকলেন সম্পাদনা করেন আশরাফ সিজেল।
ছাত্রজীবনে শিশু সংগঠন খেলাঘর আসর করতেন। চৈতালি নামে ত্রৈ মাসিক কাগজের সম্পাদক ছিলেন তিনি।
বর্তমানে গত ৩ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করছেন ৭১ টেলিভিশনের সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাই প্রতিনিধি হিসেবে। সাভারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্নস্মীকৃত খুনী মেজর ডালিমের বাবা জিয়াউর রহমানের সরকারের কৃষি মন্ত্রী শামসুর রহমানের নামে একটি হাইস্কুল ছিল। এ নিয়ে ৭১ টিভিতে তাঁর করা একটি প্রতিবেদনে ৫৪ বছর পর ওই স্কুলের নাম পরিবর্তন করা হয়। ঠাকুরমার ঝুলির লেখক দক্ষিণা রঞ্জন মিত্র মজুমদারের বাড়ি ছিল সাভারে। এ নিয়ে একটি প্রতিবেদনে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশ সাড়া ফেলে। এছাড়া বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় লেখালেখি করা ছাড়াও মানবিক কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
সাংবাদিক আশরাফ সিজেলের মা জেবুনাহার মতি নব্বই দশকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার মশাখালী ইউনিয়নের মুখী গ্রামের বাংলাদেশের প্রথম ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য ছিলেন। সেই সাথে তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগের নেত্রী ছিলেন। তাঁর বাবা প্রাক্তণ স্কুল শিক্ষক মফিজ উদ্দিন মহান মৃক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করলেও সার্টিফিকেট নেননি। ২০০১ পরবর্তী সময়ে সাংবাদিক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশরাফ সিজেলের জন্য জমি জমা সব বিক্রি করতে হয়েছে রাজনৈতিক মিথ্যা মামলা থেকে মুক্ত করার জন্য। এই বিশিষ্ট সাংবাদিক অনেক হামলা মামলার শিকার হয়েছেন।