জাহিদ আল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে উম্মে কুলসুম(৩০) নামের এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, শনিবার (২৭ জুলাই) রাতে কিশোরপুর বকসিপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় নিহতের স্বামী বাদী হয়ে চার জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে পুলিশ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত একজনকে আটক করেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের কিশোরপুর বকসিপাড়া এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে রফিকুল ইসলাম ও ছোট ভাই সামছুল ইসলাম একই বাড়িতে বসবাস করে আসছিলেন। উভয়ে একই বাড়িতে থাকার কারনে প্রায় প্রতিদিন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী আমিনা বেগম (৪০) ও সামছুল ইসলামের স্ত্রী উম্মে কুলসুমের সাথে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। শনিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। এরপর বিকালে পারিবারিকভাবে তা মিমাংসা করা হয়। এদিকে আমিনা বেগম মারামারির বিষয়টি মোবাইল ফোনে পাশ্ববর্তী এলাকায় তার পিতার বাড়িতে জানান। পরে রাতে বড় বোন মমিলা বেগম (৪২) ও মা উম্মে কুলছুম মেয়ে আমিনা বেগমের বাড়িতে আসেন। এরপর তিনজন মিলে দুপুরের দুই জা’য়ের তুচ্ছ বিষয়টি নিয়ে আবারো তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন। এরই এক-পর্যায়ে মমিলা বেগম, উম্মে কুলছুম ও আমিনা বেগম একত্রে মিলে উম্মে কুলসুমকে মারধর শুরু করলে তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে চিৎকার করতে থাকেন। এ সময় স্বামী সামছুল ইসলাম ও এলাকাবাসী ঘটনাস্থলে এসে মূমুর্ষূ অবস্থায় উম্মে কুলসুমকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহত গৃহবধুর স্বামী সামছুল আলম রোববার (২৮ জুলাই) বাদী হয়ে মমিলা বেগমসহ চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। এরপর পুলিশ অভিযান চালিয়ে মমিলা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মেহেরুল ইসলাম জানান, উম্মে কুলসুম নামের ওই মহিলাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক জানান, গৃহবধুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।