মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: বুধবার (২৩ আগস্ট) ডিএনসিসির মশক নিধন অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ২১ টি মামলায় মোট ০৪ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-০৫ এর আওতাধীন মোহাম্মদপুর এলাকায় মশক নিধন অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ০৬টি মামলায় মোট ০২ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বির আহমেদ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারাওয়াত মেহজাবীন ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রমথ রনজন ঘটক।
অঞ্চল-৩ এর আওতাধীন বনানী ও বারিধারা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযান পরিচালনাকালে বাসা বাড়ী, বাণিজ্যিক ভবন ও নির্মানাধীন ভবনে, ফাঁকা প্লটে মশক বিরোধী অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪টি ভবনের মালিককে ০৪ মামলায় মোট ০১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-০৪ এর আওতাধীন মিরপুরের মণিপুর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুবায়েত হায়াত শিপলু অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে প্রায় ৯০ টি বাসাবাড়ি, ভবন, রেষ্টুরেন্ট ও দোকানপাট পরিদর্শন করা হয়েছে। ০৭টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। লার্ভা ধংস করা হয়েছে।
অঞ্চল-১ ও ৭ এর আওতাধীন উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরীন এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা স্কুলে শিক্ষার্থীদের মাঝে সচেতনতামূলক কার্টুন বুক বিতরণ করেন।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে একটি নির্মাণাধীন ভবনে লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ০৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-০৯ এর আওতাধীন ভাটার নুরের চালা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে ১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোট ০৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তাগণ ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করে এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন। শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে সচেতনতামূলক কার্টুন বই বিতরণ করেন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আলোচনা করা হয়। আলোচনা সভায় ডিএনসিসির কাউন্সিলরসহ অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ স্কাউট ও বিএনসিসির সদস্যরাও ডিএনসিসির কর্মীদের সাথে যুক্ত হয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করেন।