ঢাকা | ২৯ এপ্রিল ২০২৫
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পর যে নতুন চ্যালেঞ্জ আসবে, তা মোকাবেলায় কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা হবে অন্যতম প্রধান উপায় বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ফর এসডিজি’স-এর আহ্বায়ক এবং সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)-এর সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমন্ডির সিপিডি অফিসে ‘বাংলাদেশে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা: বর্তমান পরিস্থিতি এবং সংস্কার চিন্তাভাবনা’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. দেবপ্রিয় বলেন, “কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষার ক্ষেত্রে এখনো বৈষম্যমূলক নীতি বিদ্যমান। এই শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মানব সম্পদ বিকাশে জোর দিতে হবে। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারে আমাদের অবস্থান আরও দৃঢ় হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে শিক্ষার্থীরা নানান দাবিতে বিক্ষোভ করছে, কিন্তু নীতিনির্ধারকরা তাদের যথাযথভাবে শুনছেন না। সেই সঙ্গে, এসব বিষয় গণমাধ্যমেও পর্যাপ্ত জায়গা পাচ্ছে না, যা দুঃখজনক।”
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিপিডি’র সম্মানিত ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডাররা।
উল্লেখ্য, গত বছর সিপিডি ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম যৌথভাবে তৃণমূল পর্যায়ে একটি সামাজিক নিরীক্ষা পরিচালনা করে। এতে অংশ নেন শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, সরকারি কর্মকর্তা ও কারিগরি-বৃত্তিমূলক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট অনেকে।
গবেষণায় উঠে এসেছে—কারিগরি শিক্ষার মান, পদ্ধতি, চাকরির বাজারে গ্রহণযোগ্যতা ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই গবেষণার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২৪ সালের ২ নভেম্বর ঢাকায় একটি জাতীয় সম্মেলনও আয়োজন করা হয়।