কে এম শাহীন রেজা, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি ॥
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার পর থেকেই দূর্ণীতির আতুরঘর কুষ্টিয়া গণপূর্ত অফিসের দূর্ণীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) মো: সজিবুর রহমান তার কতিপয় দোষরদের নিয়ে আলামপুর ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে পূণ:রায় আওয়ালীগকে সক্রিয় করতে মাঠে নেমেছেন তিনি। এই সজিবুর রহমান তিনি অতি অল্প সময়ের চাকরীর সূবাদে অঢেল সম্পদের পাহাড় বানিয়েছেন, নির্মান করেছেন উপজেলা রোডের পাশে বিলাশবহুল বাড়ী ও জমিয়েছেন নামে বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক একাউন্টে লক্ষ-লক্ষ টাকা। তবে তিনি গত দেড় বছর আগে পাবনা থেকে বদলী হয়ে কুষ্টিয়াতে এসেছেন ওখান থেকেই বেশী অবৈধ অর্থ কামিয়েছেন বলে অফিস সুত্রে জানা যায়। এখানেও চলছে ইলেকট্রিক্যাল সাইডের মাধ্যমে তার অবৈধ উপার্জন। তার দূর্ণীতির বিস্তারিত পরবর্তী সংবাদে প্রকাশ করা হবে।
তবে তার নিজ বাড়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিনের স্বস্তিপুর গ্রামের দক্ষিন পাড়াতে হওয়ার সুবাদে উক্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মৃত রহমান মাষ্টারের ছেলে মাহাবুব, ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক দুলাল সরদার ও তার ছেলে জাহিদুল, মহম্মদের ছেলে রাকিব সহ আরো একাধিক ব্যক্তিকে সংযুক্ত করে একটি টিম তৈরী করে তাদেরকে অর্থ দিয়ে আওয়ামীলীগের কর্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন গণপূর্ত অফিসের দূর্ণীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) মো: সজিবুর রহমান। এ বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই আলামপুর বাজারের উপর এলাকার সামাজিক নেতারা বৈঠক করছেন, তবে গত সোমবার বিকেলে প্রকৌশলী মো: সজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যরা এসে ঐ সকল সমাজপতিদের কাছে এসে ক্ষমা চেয়েছেন বলে জানান সমাজপতিরা।
তবে প্রকৌশলী মো: সজিবুর রহমান যাদেরকে দিয়ে দলকে চাঙ্গা করার মিশনে নেমেছেন তারা আসলে কে বা কারা তাদের হিষ্ট্রি অনেক বড়, দুলাল সরদার আল্লাহর ঘর মসজিদের ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা চুরির দায়ে বহিস্কার করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ঐ মসজিদেরই সভাপতি হলেন দূর্ণীতিবাজ প্রকৌশলী মো: সজিবুর রহমান। মাহাবুব পল্লী চিকিৎসক সেজে গ্রামে গ্রামে বড়ি বিক্রি করে বেড়ায়। তবে গত এক মাস আগে এই প্রকৌশলীর অর্থে তারা আওয়ামীলীগ মতাদর্শের একটি ফেক আইডি খুলে উক্ত এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের সন্তানদের ছবি দিয়ে কুরুচীপূর্ণ বিস্ফোরক কথাবার্তা ছুড়ছেন এ বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে ঐ আইডি’র বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় দুইটা জিডি হয়েছে কিন্ত প্রশাসন কোন প্রকার পদক্ষেপ গ্রহন করে নাই বলে ভ’ক্তভোগীরা জানান। তবে তারা নিশ্চিত হয়েছেন যে উক্ত আইডিটি পরিচালনা করেন প্রকৌশলী সজিবুর রহমানের সহযোগীতায় মাহাবুব, দুলাল সরদার ও তার ছেলে জাহিদুল এবং মহম্মদের ছেলে রাকিব।
গত সোমবার আলামপুর বাজারের উপর সরজমিনে গিয়ে যেটি জানা গেল, দূর্ণীতিবাজ উপ-সহকারী প্রকৌশলী (ই/এম) মো: সজিবুর রহমানের দোষর মাহাবুব, দুলাল সরদার ও তার ছেলে জাহিদুল, মহম্মদের ছেলে রাকিব সহ আরো একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে এলাকবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন, যে কোন মুহুর্তে উক্ত এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ বাঁধতে পারে বলে বলে জানালেন সাধারন বাসিন্দারা। এটাও জানা গেছে উক্ত ফেক আইডি’র বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে উক্ত মামলা থেকে প্রকৌশলী মো: সজিবুর রহমানের নামও ঢুকে যাবে বলে জানালেন সমাজপতিরা।