হেলাল শেখঃ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে খাসির মাংস বলে কুকুর বা শিয়ালের মাংস বিক্রির ঘটনা উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। এসব প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ড জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের নজরদারির অভাব স্পষ্ট করছে।
সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা: ১। নরসিংদী: খাসির মাংস বলে কুকুরের মাংস বিক্রির দায়ে কালাম মাসুদ নামের দুই ব্যক্তিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
২। *খুলনা*: খালিশপুর এলাকায় পরিত্যক্ত ভবনে কুকুর জবাই করে খাসির মাংস বলে বিক্রি করছিল একটি চক্র। পুলিশ ৪ জনকে আটক করে, যাদের মধ্যে একজন বিরিয়ানি বিক্রেতাও ছিলো।
৩। *আশুলিয়া, সাভার*: "আল্লাহর দান-৫" নামক একটি বিরিয়ানির দোকানে কুকুরের মাংস দিয়ে বিরিয়ানি রান্নার অভিযোগে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মাংস পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
৪। *কুমিল্লা*: মুরাদনগরে ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে শিয়ালের মাংস বিক্রি করছিলেন কয়েকজন ব্যক্তি। বন বিভাগ এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে।
৫। *নোয়াখালী*: সুবর্ণচরে শিয়ালের মাংস বিক্রির অপরাধে একজনকে ৩,০০০ টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। ৬। কয়েকদিন আগে ফেনিতে শিয়াল জবাই করে মাংস বিক্রি করার অপরাধে এক জনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও ৬ মাসের সাজা দেন ভ্রাম্যমান আদালত।
জনস্বাস্থ্য ও আইনগত দিক:- কুকুর ও শিয়ালের মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যঝুঁকি সৃষ্টি করতে পারে, কারণ এসব প্রাণী বিভিন্ন রোগের বাহক হতে পারে।-বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, শিয়ালসহ বন্যপ্রাণী হত্যা ও বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। প্রাণী কল্যাণ আইন অনুযায়ী, কুকুর জবাই ও মাংস বিক্রি করা নিষিদ্ধ।
বিশেষ করে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের করণীয় কি?।