নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় নদীতে মাছ ধরার ওপর চলছে নিষেধাজ্ঞা। জাটকা রক্ষা কর্মসূচি বাস্তবায়নে পাহারা দিচ্ছে নৌপুলিশ। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুর নৌ সীমানার বিভিন্ন স্থানে চলছে জাটকা শিকার। দিনের আলোয় সুযোগ কম থাকায় সন্ধ্যার পর থেকেই জাটকা নিধনে নদীতে নেমে পড়ে অসংখ্য জেলে। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নদীতে মাছ ধরার অপরাধে গত এক মাসে অন্তত ১৪ জন জেলেকে আটকের পর জেল-জরিমানা করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে প্রায় পৌনে দুই কোটি অবৈধ কারেন্টজাল ও প্রায় ২ শত ৪২ কেজি জাটকা। চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট নৌপুলিশের চৌকস অভিযানে। চাঁদপুর হরিণা ফেরিঘাট নৌ পুলিশ ১ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার ৮ শত বর্গ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করেন যার মূল্য ১০ কোটি ২২ লাখ ৮৬ হাজার টাকা।
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা নিধনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন চাঁদপুরের জেলার সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. তানজিমুল ইসলাম।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম বলেন, ‘জেলেরা আসলে চুরি-চামারি করে জাটকা শিকার করছে। নদীতে অভিযানে গেলেই ১০ জন থেকে ১২ জন জেলে পর্যন্ত আটক করা হচ্ছে। এভাবেই চলছে। এরপরও মাছ শিকার থেমে নেই। আমরাও নদীতে অভিযান চালিয়ে তাদের ধরছি, জেল-জরিমানা করছি। এসব উপেক্ষা করেই তারা জাটকা নিধন করছে।’
এবিষয়ে হরিনা নৌ পুলিশ ফাড়িঁর ইনর্চাজ চট্রগ্রাম জেলার হালদা পাড়ের ছেলে পুলিশ পরিদর্শক মো. নজরুল ইসলাম বলেন,কারেন্ট জাল ফেলে নদীতে মাছ শিকার করা সরকার নিষিদ্ধ। তাই তাদের আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘জাটকা নিধন থেকে জেলেদের নিবৃত্ত রাখা কঠিন কাজ। হয়তো একসময় আসবে তারা পুরোপুরি বুঝতে পারবে। যেমন আমাদের হালদা নদীর কথা চিন্তা করেন। সেখানে জেলেরা এখন নিজেরাই পাহারা দেয়। আমরা আশাবাদী হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন ইলিশ সম্পদ রক্ষা করতে আমাদের মেঘনাপাড়ের জেলেরা নিজেরাই নদী পাহারা দেবে। এতটুকু সময় পর্যন্ত আইন প্রয়োগ করতে আমাদের কষ্ট করতে হবে।বিষয়টা কঠিন হলেও রাষ্ট্রিয় দায়িত্ব হিসাবে জেলেদের নিবৃত করতে তিনি বদ্দপরিকর।