চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মুসল্লিদের অবস্থান কর্মসূচি


Najmul Hossain প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৮, ২০২৫, ৫:৩৬ অপরাহ্ন /
চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মুসল্লিদের অবস্থান কর্মসূচি

চীন সরকারের অর্থায়নে নির্মিতব্য ১০০০ শয্যা বিশিষ্ট চায়না-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন সাধারন মুসল্লিরা। শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) জুমার নামাজের পর জেলার সর্বস্থরের সাধারন মুসল্লিদের আয়োজনে পঞ্চগড় চৌরঙ্গী মোড়ে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন এলাকার ইমাম ও মুসল্লিরা অংশগ্রহন করেন। পঞ্চগড় জেলার সর্বস্তরের মুসল্লিবৃন্দের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন মসজিদের খতিব মাওলানা মাজেদুর রহমান, শাহিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, দেলোয়ার হোসেন, লিয়াকত আলী ও ময়নুল ইসলাম। মুসল্লিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আব্দুল্লাহ আল মামুন রণিক ও তোফায়েল প্রধান।

বক্তারা বলেন, উত্তরাঞ্চলের মধ্যে পঞ্চগড় স্বাস্থ্যসেবায় সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে। জেলার সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসক সংকট প্রকট, অনেক হাসপাতালে পদের এক-তৃতীয়াংশও চিকিৎসক নেই। ফলে রোগীদের চিকিৎসার জন্য রংপুর, দিনাজপুর কিংবা ঢাকায় যেতে হয়, অনেক সময় পথেই মৃত্যু হয়।

তারা আরও বলেন, ২০২৩ সালে চীন ও বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের যৌথ উদ্যোগে পঞ্চগড়ে ১০০০ শয্যার একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হলেও নানা ষড়যন্ত্র ও ভারতীয় মিডিয়ায় ছড়ানো গুজবের কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। এখনও ওই প্রকল্পের জন্য নির্ধারিত ৩৫ একর জমি অব্যবহৃত রয়েছে। এছাড়া জেলা সদরে আরও খাস জমি রয়েছে, যা ব্যবহার করে হাসপাতাল নির্মাণ করা সম্ভব।

বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত এই হাসপাতাল পঞ্চগড়ে স্থাপিত হলে শুধু উত্তরাঞ্চলের মানুষ নয়, নেপাল, ভুটান ও ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষও চিকিৎসা ও শিক্ষা সুবিধা পাবে। এটি এই অঞ্চলের চিকিৎসা খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে এবং সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতেও ভূমিকা রাখবে।