নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলায় ৪ মাস ৫ দিনে পবিত্র আল-কোরআনে হাফেজ হয়ে বিস্ময় সৃষ্টি করেছে ১১ বছরের শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ।
শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ অল্প সময়ের মধ্যে ৩০ পারা পবিত্র আল-কোরআন মুখস্থ করে নিজের পরিবার, এলাকাবাসী ও শিক্ষকদেরকে অবাক করে দেয়।
শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর উপজেলার প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত কাজী হাসানুজ্জামান-অজিউল্লাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগের ছাত্র। তার এমন কৃতিত্বে বিস্ময় সৃষ্টি হয় এলাকাজুড়ে।
শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ প্রবাসী মো. বোরহান উদ্দিন ও স্কুল শিক্ষক ওয়ালিদা বেগম দম্পতির সন্তান।
জানা যায় যে, শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ এর বাবা-মায়ের নিয়ত ছিল ছেলেকে মুসলিম জাতির মহাগ্রন্থ পবিত্র আল-কোরআনে হাফেজ বানাবেন।
তাই শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ ২০২৪ সালের শুরুর দিকে বাবা-মায়ের ইচ্ছায় শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফকে কাজী হাসানুজ্জামান-অজিউল্লাহ মাদরাসার হিফজ বিভাগে ভর্তি করানো হয়।
পরবর্তীতে ১’শ ২৫ দিন তথা ৪ মাস ৫ দিনে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়।
শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ এমন সাফল্যে খুশি মা-বাবাসহ এলাকাবাসী। বাবা-মায়ের প্রত্যাশা ছেলে নামকরা হাফেজে আলেম হয়ে দেশবাসীর কল্যাণে কাজ করবে।
শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ এর মা ওয়ালিদা বলেন, ‘আমার ছেলে ৪ মাস ৫ দিনে হাফেজ হওয়ার পেছনে তার ওস্তাদদেরও অনেক ভূমিকা ছিলো। আমি প্রতিষ্ঠানের সকল ওস্তাদদেরকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ জানাই। সেই সাথে আমার ছেলের জন্য ওস্তাদদের দোয়া কামনা করি। সে যেন দেশবরেণ্য একজন আলেম হতে পারেন।’
প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত কাজী হাসানুজ্জামান-অজিউল্লাহ মাদরাসার শিক্ষকরা বলেন, মা-বাবা তার ছেলেকে ইসলামের পথে দেখতে চেয়েছিলেন। আল্লাহর ইচ্ছে সেটি হয়েছে। শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিকে মাদরাসায় হিফজ বিভাগে ভর্তি করান। তাদের স্বপ্ন পূরণে মনোযোগ দিয়ে অল্প সময়ের মধ্যে কোরআন মুখস্থ করে শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ। শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফের কঠোর পরিশ্রম ও চেষ্টার কারণেই সে দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছেছে। অন্য ছাত্ররা দৈনিক ১ পৃষ্ঠা পড়া শেষ করলে সে করতো ৭-৮ পৃষ্ঠা। এ জন্য শিশু মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ দ্রুত কোরআন মুখস্থ করে হাফেজ হয়েছে। মুসলিম হিসেবে কোরআনে হাফেজ হওয়া পরিবার ও সমাজের জন্য সর্বোচ্চ পাওয়া।
শিশু হাফেজ মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ বলেন, ‘মা-বাবা ও মাদরাসার ওস্তাদদের সহযোগিতায় আমি ৪ মাস ৫ দিনে হিফজ সম্পন্ন করি। সবার কাছে দোয়া চাই আমি যেন দেশবরেণ্য আলেম হতে পারি।’
কাজী হাসানুজ্জামান-অজিউল্লাহ মাদরাসার মুহতামিম মো. ফারুক হোসেন বলেন, ‘প্রফেসর কাজী ফারুকী কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত কাজী হাসানুজ্জামান-অজিউল্লাহ মাদরাসা ২০১৫ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়।
হিফজ ছাড়াও এখানে জেনারেল শিক্ষা প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত আমাদের ৮ জন ছাত্র কোরআনে হাফেজ হয়েছেন। সম্প্রতি আমাদের ছাত্র মো. নুর আব্দুল্লাহ ওয়াসিফ ১’শ।২৫ দিন তথা ৪ মাস পাঁচদিনে কোরআনে হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। আমরা তার সফলতা কামনা করি।