জাহিদ আল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে সড়কের সংস্কার কাজ শুরুর পর কয়েকমাস ধরে বন্ধ থাকায় যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাঁচ শতাধিক পরিবারের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এদিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বলছেন স্থানীয়দের বাঁধার কারণে বন্ধ সড়কের মাটি ভরাটের কাজ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এনডিপি) অর্থায়নে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পাত্রখাতা এলাকায় সড়কের মাটি ভরাট ও গাইড ওয়াল নির্মান কাজ শুরু হয়েছে। তবে কাজ শুরু প্রায় ৪-৫ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে কাজ। ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে জানা গেছে, এনডিপির মাধ্যমে ১০৩৯ মিটার ও ৮৭০ মিটারের দুটি রাস্তায় মাটি ভরাটে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৩ লাখ টাকা। ৮৭০ মিটারের সড়কের কাজ শেষের দিকে হলেও অপর সড়কের কাজ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন ওই এলাকার পাঁচ শতাধিক পরিবাবের লোকজন।
সরেজমিন গিয়ে জানা গেছে, পাত্রখাতা এলাকার ১০৩৯ মিটার রাস্তাটি খুড়ে রেখেছেন প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস হলো। এখন কাজ বন্ধ থাকায় ওই এলাকার বাসিন্দারা চলাচলে ভোগান্তি বেড়েছে কয়েক গুন। স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তার মাঝখানে খুড়ে রাখায় দুইপাশের বসতবাড়ির জায়গা ভেঙে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গেলো বন্যায় এবং সম্প্রতি হওয়া বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা দুদু মিয়া, মিজানুর রহমান, মমিনুল ইসলাম, আলমগীর ইসলামসহ অনেকেই বলেন, চার-পাঁচ মাস ধরে রাস্তার কাজ বন্ধ। এই এলাকায় ৫’শ পরিবারেরও বেশি মানুষ প্রতিদিন এই পথ ধরে চলাচল করে। এখানে রাস্তার যে অবস্থা করে রাখছে তাতে তো স্বাভাবিকভাবে চলাচল করা যাচ্ছে না। আমরা স্থানীয়রা সহযোগীতা করছি শুরু থেকে যাতে দ্রুত কাজ শেষ হয়। তারা আরো বলেন, রাস্তার খুড়ে যে গর্ত হয়েছে এখন সেসব জায়গায় পানি জমে থাকে বাড়ির ছোট শিশুদের নিয়ে চিন্তায় থাকতে হয়। এছাড়াও এই রাস্তায় কোনো গাড়ি চলতে পারে না। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়। এখন দ্রুত সময়ের রাস্তায় মাটি ভরাট ও গাইড ওয়াল নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
রমনা মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. গোলাম আশেক আকা জানান, ওই এলাকায় দুটি রাস্তার কাজ হচ্ছে। এর মধ্যে একটি রাস্তার কাজ প্রায় শেষের দিকে। আরেকটি রাস্তায় কাজ করতে স্থানীয়রা বাঁধা দেয়ায় বন্ধ রয়েছে। আজ স্থানীয়দের সঙে মিটিং ডাকা হয়েছে।