জাহিদ আল হাসান, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ
শফিকুল কখনো হোটেল বয়ের কাজ করেন, কখনো ভ্যান চালান, কখনো মাছ ধরেন। এসবের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন জায়গায় করেন ডাকাতি। একা নয় ডাকাতি করেন সংঘবদ্ধ গ্রুপে।
পুলিশ জানায়, গাজীপুর সদরের জেলারপাড় এক প্রবাসীর পরিবারে বাড়ির কক্ষের দরজা ভেঙে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে তার স্ত্রী সন্তানকে বেধে ৭/৮ জন মিলে স্বর্নসহ মুল্যবান জিনিস লুট করেন এই চক্রটি। সেই ডাকাত দলের সদস্য শফিকুল ইসলাম সাজু। তিনি শুধু ডাকাতিই করেন না, করেন মাদক ব্যবসাও তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও আছে। চক্রের একাধিক ডাকাত সদস্য ধরা পরলেও কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর পাইকের ছড়া এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন সাজু। গাজীপুর পুলিশের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার মাধ্যমে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ নিশ্চিত হয় তার অবস্থান। শত ছলচাতুরির পরে ভূরুঙ্গামারী থানার একটি চৌকস পুলিশ টিম তাকে পাইকেরছড়া এলাকা হতে গ্রেফতার করে গাজীপুর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।এই বিষয়ে গত ১৭ জানুয়ারি গাজিপুর মেট্রোপলিটনের সদর থানায় একটি ডাকাতির মামলা রুজু হয়।
কুড়িগ্রামের পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত কুখ্যাত ডাকাত ও মাদক কারবারি শফিকুল ইসলাম সাজু বিভিন্ন সময়ে গাজিপুরে একটি চক্রের সাথে ডাকাতি সহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধ করে পুনরায় কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে কখনো হোটেল বয় আবার কখনো জেলে সেজে ছদ্মবেশে আত্মগোপনে থাকত। তার বিরুদ্ধে কচাকাটা থানায় পূর্বের ১টি মাদক মামলা রয়েছে। নিরাপদ কুড়িগ্রামের লক্ষ্যে আমাদের এই অভিযান নিয়মিতভাবে অব্যাহত থাকবে।