নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
সেবা প্রত্যাশী জনগণ যেখানে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতেন বা একটি স্বাক্ষরের জন্য দিনের পর দিন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বেড়াতেন। কখনও কখনও বাড়িতে বা হাটে-বাজারে চেয়ারম্যানকে খুঁজতেন একটি স্বাক্ষরের জন্য।
যে কারণে চেয়ারম্যানদের প্রতি অতিষ্ট ছিলেন সাধারণ মানুষ। সেখানে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে ১৪ নং মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদে। যেখানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানই অপেক্ষায় থাকেন জনগণের।
নিজ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রত্যাশী জনগণের হয়রানি রোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল। নাগরিক সনদপত্র, প্রত্যায়নপত্র, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ই-সেবা প্রদান, ভাতা গ্রহিতাদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এসব সেবা প্রদানে চেয়ারম্যান বা তার লোকজনকে কোনো টাকা দিতে হয়না। উল্টো যেই আসছেন, তাকেই নিজের টাকায় এককাপ চা খাইয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন তিনি।
লক্ষ্মীপুর সদরের মান্দারী ইউপির বিজয়ী হয়ে দায়িত্ব নেয়ার পরেই ইউনিয়নবাসী চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারীর প্রতি এমনই সন্তোষ্টি প্রকাশ করেছেন এলাকার জনসাধারণ।
জনবান্ধব একজন চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারী এমন মন্তব্য করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বিগত যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদেরকে পরিষদে ঠিকমত পাওয়া যেত না। একটি স্বাক্ষরের জন্য অনেকদিন পর্যন্ত ঘুরতে হয়েছে। এখন চেয়ারম্যানকে খুঁজতে হয়না, তিনিই দিনরাত বসে থাকেন নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা আমেনা, আবু সুফিয়ান, সাইফুল ইসলামসহ অনেকেই জানান- প্রতিদিনই চেয়ারম্যান ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে বসে থাকেন কিনবা নিজের অফিসে বসে সেবা দিয়ে থাকেন। কারো প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন না। বরং সেবা গ্রহিতাদের চা আপ্যায়ন করে তারপর বিদায় দেন। এতে তারা বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে বিগত চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে শালিস বাণিজ্য ও মেম্বারদের থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই। বরঞ্চ কাজের সচ্ছতা ও ডিজিটাল সেবায় নাগরিক হয়রানি রোধে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ইতিমধ্যে যেসব গ্রামে কাঁচা সড়ক রয়েছে এসব প্রকল্প অনুমোদন হলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন বাস্তবায়ন করতে সচেষ্ট রয়েছেন চেয়ারম্যান সোহরাব রুবেল পাটোয়ারী।
এক সাক্ষাৎকারে চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন রুবেল পাটোয়ারী বলেন, একটি ইউনিয়নে জনগণের নানাবিধ কাজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের খুব প্রয়োজন। সেখানে একটি স্বাক্ষরের জন্য কেন মানুষকে দিনেরপর দিন ঘুরতে হবে? আমি নির্বাচনের আগেই ওয়াদা করেছি, জনগণের হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নির্বাচনী সেই ওয়াদা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি।