নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
সেবা প্রত্যাশী জনগণ যেখানে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতেন বা একটি স্বাক্ষরের জন্য দিনের পর দিন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বেড়াতেন। কখনও কখনও বাড়িতে বা হাটে-বাজারে চেয়ারম্যানকে খুঁজতেন একটি স্বাক্ষরের জন্য।
যে কারণে চেয়ারম্যানদের প্রতি অতিষ্ট ছিলেন সাধারণ মানুষ। সেখানে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদে। যেখানে সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চেয়ারম্যানই অপেক্ষায় থাকেন জনগণের।
নিজ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রত্যাশী জনগণের হয়রানি রোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটোয়ারী। নাগরিক সনদপত্র, প্রত্যায়নপত্র, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ই-সেবা প্রদান, ভাতা গ্রহিতাদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এসব সেবা প্রদানে চেয়ারম্যান বা তার লোকজনকে কোনো টাকা দিতে হয়না। উল্টো যেই আসছেন, তাকেই নিজের টাকায় এককাপ চা খাইয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন তিনি।
জনবান্ধব একজন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী এমন মন্তব্য করে ইউনিয়নের বাসিন্দারা বলেন, বিগত যারা চেয়ারম্যান ছিলেন, তাদেরকে পরিষদে ঠিকমত পাওয়া যেত না। একটি স্বাক্ষরের জন্য অনেকদিন পর্যন্ত ঘুরতে হয়েছে। এখন চেয়ারম্যানকে খুঁজতে হয়না, তিনিই দিনরাত বসে থাকেন নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেমা, সুফিয়ান, রাশেদ ইসলামসহ অনেকেই জানান- চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির পাটোয়ারী ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে বসে থাকেন। সারাদিন অন্ততপক্ষে তাকে অনেক স্বাক্ষর করতে হয়। কারো প্রতি বিরক্ত প্রকাশ করেন না। বরং সেবা গ্রহিতাদের চা আপ্যায়ন করে তারপর বিদায় দেন। এতে তারা বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
অন্যদিকে বিগত চেয়ারম্যানদের শালিস ও মেম্বারদের থেকে বিভিন্ন প্রকল্পে কমিশন বাণিজ্যের অভিযোগ থাকলেও বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নেই। বরঞ্চ কাজের সচ্ছতা ও ডিজিটাল সেবায় নাগরিক হয়রানি রোধে তিনি কার্যকর ব্যবস্থা নিয়েছেন।
এক স্বাক্ষাতকারে চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী বলেন, জননেত্রী, দেশরত্ন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিয়ে সন্মানিত করেছেন। আমি সেই সন্মানটুকু রাখতে চাই। যাতে মানুষ মনে করেন, দল এবং নেত্রী সঠিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দিয়েছেন।
চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী বলেন, একটি ইউনিয়নে জনগণের নানাবিধ কাজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের খুব প্রয়োজন। সেখানে একটি স্বাক্ষরের জন্য কেন মানুষকে দিনেরপর দিন ঘুরতে হবে? আমি নির্বাচনের আগেই ওয়াদা করেছি, জনগণের হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নির্বাচনী সেই ওয়াদা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি।