নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুরের সদর উপজেলার ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মাঝেও অফিস করে যাচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের সেবা গ্রহণের জন্য যাতে করে হয়রানির শিকার না হন সাধারণ জনগণ।
সেবা প্রত্যাশী জনগণ যেখানে ইউনিয়ন পরিষদে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষায় থাকতেন বা একটি স্বাক্ষরের জন্য দিনের পর দিন চেয়ারম্যানকে খুঁজে বেড়াতেন। কখনও কখনও বাড়িতে বা হাটে-বাজারে চেয়ারম্যানকে খুঁজতেন একটি স্বাক্ষরের জন্য।
যে কারণে চেয়ারম্যানদের প্রতি অতিষ্ট ছিলেন সাধারণ মানুষ। সেখানে এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে ১ নং উত্তর হামছাদী ইউনিয়ন পরিষদে।
নিজ ইউনিয়ন পরিষদে সেবা প্রত্যাশী জনগণের হয়রানি রোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছেন।
নাগরিক সনদপত্র, প্রত্যায়নপত্র, জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন, ওয়ারিশান সার্টিফিকেট, ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে ই-সেবা প্রদান, ভাতা গ্রহিতাদের বিভিন্ন সমস্যা নিরসনে নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
এসব সেবা প্রদানে চেয়ারম্যান বা তার লোকজনকে কোনো টাকা দিতে হয়না। উল্টো যেই আসছেন, তাকেই নিজের টাকায় এককাপ চা খাইয়ে সন্তুষ্টি অর্জন করেছেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিদিনই চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ে বসে থাকেন। সেবা গ্রহিতাদের চা আপ্যায়ন করে তারপর বিদায় দেন। এতে তারা বর্তমান চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চেয়ারম্যান বলেন, একটি ইউনিয়নে জনগণের নানাবিধ কাজে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের খুব প্রয়োজন। সেখানে একটি স্বাক্ষরের জন্য কেন মানুষকে দিনেরপর দিন ঘুরতে হবে? আমি নির্বাচনের আগেই ওয়াদা করেছি, জনগণের হয়রানি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। নির্বাচনী সেই ওয়াদা আমি অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করছি।