নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা, সোমবার:
দেশের প্রতিটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে সহজ, দক্ষ ও কার্যকর করতে পূর্ণাঙ্গভাবে পুনঃনকশা ও পুনঃনির্মাণের সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন। আজ সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদন হস্তান্তরকালে কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ডা. একে আজাদ খান এ সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, “দেশব্যাপী একটি কার্যকর জরুরি চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে এবং সকল স্তরের মানুষের জন্য উন্নত জরুরি সেবার অবকাঠামো নিশ্চিত করতে হবে। এতে আধুনিক চিকিৎসা সরঞ্জাম, জরুরি রোগ নির্ণয়ের সুবিধা, পর্যাপ্ত জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এবং রোগী পর্যবেক্ষণের উপযুক্ত ভৌত কাঠামো থাকতে হবে।”
এছাড়াও, জরুরি ও ক্রিটিক্যাল কেয়ার সেবাকে পৃথক বিভাগ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে প্রশিক্ষিত জনবল ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জামের মাধ্যমে এসব সেবা কার্যকর করার সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মহাসড়কসংলগ্ন সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যকর ট্রমা সেন্টার স্থাপন এবং সেখানে রক্ত সঞ্চালন ও অ্যাম্বুলেন্স সেবার স্থায়ী ব্যবস্থা রাখতে হবে।
নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ৫ শয্যা বিশিষ্ট ‘ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার’ গড়ে তোলার পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, “এসব সেন্টারে সকল প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরামর্শ ও আইনগত সহায়তা প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।”
দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিদের তাৎক্ষণিক সহায়তা নিশ্চিত করতে থানার পুলিশ সদস্যদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং থানায় প্রয়োজনীয় উপকরণ সার্বক্ষণিক রাখার ব্যবস্থারও সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা এ সময় কমিশনের সুপারিশগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।