মারুফ সরকার, প্রতিবেদক : জুলাই গণঅভ্যুথানের ১০ মাস পরেও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে না পারার জন্য “এনজিও নির্ভর” উপদেষ্টা পরিষদই দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন-এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ। তিনি বলেন, “ধর্মান্তরিত হলে কোন মুসলমান যেমন জানাযা পাবার অধিকার হারায় ঠিক একইভাবে গণহত্যা এবং ফ্যাসিবাদী শাসনের কারণে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিক সংগঠনের পরিচয় হারিয়েছে৷ এজন্য দলটি নিষিদ্ধ করতে কোন আইনি দীর্ঘসূত্রিতার প্রয়োজন নেই৷ সরকারকে বলব জানাযা ছাড়াই আওয়ামী লীগকে কবর দিন৷ আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নির্বাহী আদেশে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।”
শনিবার (১০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। ববি হাজ্জাজ বলেন, “অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিংহভাগ ব্যক্তি এনজিও সেক্টর থেকে আসায় তাঁরা নানা বিদেশী শক্তির তল্পিবাহক হিসাবে কাজ করছে। এদের অনেকেই আওয়ামী ফ্যাসিবাদের ১৬ বছরে খুনি হাসিনাকে একবারের জন্যও স্বৈরাচার বলার সাহস দেখায় নাই৷ পেশাগত জীবনের অজুহাতে এরা কখনো রাজপথে নেমে আওয়ামী দু:শাসনের বিরুদ্ধে একটা টুঁ শব্দ পর্যন্ত করে নাই৷ আর তাই ৩৬শে জুলাইয়ের পর ১০ মাস অতিক্রান্ত হলেও সরকার আওয়ামী লীগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাই উল্টো ফ্যাসিবাদের অবৈধ রাষ্ট্রপতিকে ভি আই পি প্রটোকলে দেশত্যাগের সুযোগ করে দিয়েছে৷”
ববি হাজ্জাজ বলেন, “আসিফ নজরুল সাহেবকে জনতার সামনে এসে ব্যাখা দিতে হবে কেন তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সংশোধিত আইনে সংগঠনের বিচার করার বিধান সংযুক্ত করতে পারলেন না৷ অথচ শুরুতেই এনডিএম আইসিটি ট্রাইবুনালে আওয়ামী লীগ এবং ১৪ দলের বিচার চেয়ে আবেদন করেছিলো৷ শহীদের রক্তের সাথে কোন ছলচাতুরী আমরা মেনে নিব না।”
তিনি বলেন, “সরকার চালাতে হলে রাজনৈতিক দক্ষতা এবং জনগণের পালস বোঝার ক্ষমতা লাগে৷ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যে তীব্র জনরোষ সমাজে বিদ্যমান সেটা এনজিও নির্ভর উপদেষ্টা পরিষদ বুঝতে অক্ষম৷ আমরা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে আহবান জানাচ্ছি সর্বদলীয় বৈঠক করে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আওয়ামী লীগের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে এবং ব্যর্থ উপদেষ্টাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করতে।”