ঢাকা, শনিবার:
দেশে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। এ লক্ষ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য একটি প্রতিনিধি দল শিগগিরই দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবে। প্রতিনিধি দল দেশে ফিরে আসার পর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে আলোচনা করে কমিশন গঠনের কার্যক্রম শুরু হবে।
আজ বিকেলে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’ (দ্বিতীয় খসড়া) বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন লেখক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক পিনাকী ভট্টাচার্য। তিনি খসড়া আইনের কয়েকটি ধারা নিয়ে মতামত দেন।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “অনন্তকাল হানাহানি করে জাতির মুক্তি সম্ভব নয়। তাই জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন অপরিহার্য। যারা গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত, তারা সংখ্যায় কম হলেও তাদের যথোপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, সরকার গুমসহ সকল অপরাধের বিচারের জন্য আইন তৈরি করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এসব অপরাধ যাতে ভবিষ্যতে না ঘটে, সেজন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সভায় আরও বক্তব্য দেন অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম, বিশিষ্ট বিশ্লেষক ফরহাদ মজহার, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, মানবাধিকার কর্মী রেজাউর রহমান লেলিন ও সায়েরা রহমান খান এবং ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম।