বিশেষ প্রতিনিধি—হেলাল শেখঃ ঢাকার সাভার হাইওয়ে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক পুলিশ সদস্য তার কর্মস্থলের ডিউটি ফেলে রেখে এক নারীর সাথে ডেটিংয়ে গিয়ে ফেঁসে গিয়ে বরখাস্ত হলেন এবং (ওসি) ক্লোজ হয়েছেন।
সোমবার (৪ মার্চ ২০২৪ইং) রাতে জানা যায়, উল্লেখ্য, গত (২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ইং) ঢাকার সাভারের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জনৈক নিত্যশিল্পীকে নিয়ে রোমান্টিক একমূহূর্ত সময় পার করেন সাভার হাইওয়ে থানার রেকার ড্রাইভার ( পুলিশ কনষ্টেবল) মজিদুল। এই পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার কারণসহ বিভিন্ন অনিয়মে সাভার হাইওয়ে থানার (ওসি) আবুল হাসানকে ক্লোজ করেছেন হাইওয়ে পুলিশের প্রধান কর্মকর্তা।
জানা গেছে, ওই পুলিশ সদস্যের রোমান্টিক ভিডিও দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে এক মুহূর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। পুলিশ সদস্য মজিদুল আশুলিয়ার পানধোয়া বাজার এলাকায় মোশারফ হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে সাভার হাইওয়ে থানার রেকার ড্রাইভার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এ ব্যাপারে একাধিক জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এতে পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হওয়ায় ওসি আবুল হাসান ও পুলিশ সদস্য রেকার ড্রাইভার মজিদুল এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
সাভার হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, রেকার বিকল থাকার কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি রেকার ড্রাইভার কনষ্টেবল মজিদুল এবং কনষ্টেবল মিজানকে থানা অথবা থানার আশপাশে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ ছিলো, তা না করে মজিদুল দায়িত্ব ফেলে ওই অনুষ্ঠানে যুক্ত হোন। জানতে চাইলে মজিদুল গণমাধ্যমকে বলেন, হাইওয়ে থানার রেকার বিকল থাকার কারণে ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি আমার পরিবারকে নিয়ে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করি। ভিডিওতে যে মেয়েটিকে দেখা যায় তিনি আমার স্ত্রী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ইমান্দিপুর এলাকায় ভাড়ায় থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন ওই নারী। তিনি জর্ডান প্রবাসীর স্ত্রী বলে অনেকেই জানান।
এ ব্যাপারে জানতে সাভার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসানের মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার কল করে তার মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। ওসি আবুল হাসানকে কেন ক্লোজ করা হয়েছে তা জানতে চাইলে কোনো পুলিশ অফিসার এ বিষয়ে জানেন না বলে দাবী করেন। ওসি ক্লোজ হওয়ার পর গত ৪ মার্চ ২০২৪ইং রাতে সাভার হাইওয়ে থানায় সরেজমিনে গিয়ে সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ—পরিদর্শক (এসআই) বাবুল বলেন, ওসি স্যারকে কেন ক্লোজ করা হয়েছে তা আমি বলতে পারছি না। তবে কনষ্টেবল মজিদুল এর বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে এর কারণে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন অটো রিকসা চালক জানায়, তাদের গাড়ী আটক করে ২৫০০/ টাকা থেকে ৪ হাজার টাকা নিয়েছে রেকার মজিদুল। এর আগে সাভার হাইওয়ে থানা পুলিশের বিরুদ্ধে দিনে গাড়ী আটক করে রাতে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সদস্য ও সচেতন মহলের দাবী উক্ত বিষয়ে সঠিকভাবে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। অনেকেই বলছেন যে, দোষী ব্যক্তির সাজা হোক আর যিনি দোষী নয় তাকে যেন হয়রানির শিকার না হতে হয়। দেখা যায়, সাভার হাইওয়ে থানার রাতের চিত্র এক আর দিনের চিত্র অন্যরকম। রাতে লাইট ঝলমল করে এ যেন আনন্দ ভবনে পরিণত হয়েছে। পর্ব—১।