1. admin@sokalerbangla.com : সকালের বাংলা :
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৫১ অপরাহ্ন
শিরবাম:
রাণীশংকৈলে আমন ধানের বাম্পার ফলন ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি কামাল গ্রেপ্তার সিরাজগঞ্জে মাশরুমের গুরুত্ব ও উৎপাদন কৌশল বিষয়ক কৃষক-কৃষাণী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত  কোডেকের উ‌দ্যোগে কৃষি উপকরণ বিতরণ রতনকান্দি ও বাগবাটি ইউপিতে সঠিকভাবে খাদ্যবান্ধব চাল বিতরণ জন্য পরিদর্শন করেন,জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান তালুকদার রানা  রাণীশংকৈলে রাস্তা সংস্কার ও প্রশস্তকরণের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন  ২ নং গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন কতৃক আলোচনা সভা। শ্রীপুরে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিনারা বেগমের অপসারণের দাবিতে বিএনপি ও জনতার অবস্থান কর্মসূচি। কালীগঞ্জে ছেলের শোকে মায়ের মৃত্যু, বড়বোন হাসপাতালে রাজধানীর কদমতলীতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতিতে বিপর্যস্ত মানুষ

ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধা পাবে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের ৩০জেলার ৪কোটি মানুষ

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
  • ২০০ Time View

হেলাল শেখঃ রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকার নাগরিক জীবনে সবচেয়ে বড় অস্বস্তির নাম হলো যানজট। বিশেষ করে এই যানজট থেকে মানুষকে মুক্তি দিতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে বর্তমান সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সরকার।

সোমবার (১১/০৯/২০২৩ইং) আশুলিয়া—আব্দুল্লাহপুর সড়কে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের কাজ দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে এ প্রকল্পের কাজ। সড়ক ও জনপদে বিভিন্ন প্রান্তে নির্মিত হচ্ছে ফ্লাইওভার। বিশেষ করে দেশে চালু হয়েছে স্বপ্নের পদ্মাসেতু ও মেট্রোরেল, নির্মাণ হচ্ছে পাতাল রেল। তবে ঢাকার মানুষের জন্য স্থায়ী সুখবর নিয়ে আসতে পারে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প। যেখানে একযোগে দুটি এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলমান। এর মধ্যে একটির একাংশ চালু হয়েছে। এসব প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হলে ঢাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নের পাশাপাশি দ্রুতসময়ে রপ্তানিপণ্য পরিবহনে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। বাড়বে উৎপাদন বা জিডিপি।

ঢাকার যানজট নিরসনে সম্প্রতি বহুল প্রতীক্ষিত দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বা ঢাকা উড়াল সড়কের একাংশে যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। গত ২ সেপ্টেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের এ উড়াল সড়ক উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উড়াল সড়কটি বিমানবন্দর থেকে ঢাকা—চট্রগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত যাবে। যার মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। যেখানে প্রথম পর্বে চালু হয়েছে ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এখন পর্যন্ত প্রকল্পটির ৬০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে ২০২৪ সালের জুন নাগাদ। তবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাক্সিক্ষত সুফল পেতে এখন ঢাকা—আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে চোখ সরকারের। এর কারণে সব বাধা কাটিয়ে দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে এ প্রকল্পের কাজ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ছাড়া ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুফল মিলবে না। কারণ নির্মাণাধীন ঢাকা—আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্তে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে মিলিত হবে। সেটি হলে সাভার উপজেলার আশুলিয়া ডিইপিজেড সংলগ্ন শিল্পা ল ও ঢাকা—চট্রগ্রাম হাইওয়ে সরাসরি সংযুক্ত হবে। তখন ঢাকা থেকে চট্রগ্রাম রপ্তানিপণ্য পরিবহন অনেক সহজ ও সাশ্রয়ী হবে।

বাংলাদেশ সেতু কতৃর্পক্ষ মনে করেন, এ দুটি প্রকল্পের কাজ শতভাগ শেষ হলে এসব অ লে রপ্তানিযোগ্য পণ্য পরিবহনে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি আসবে। সময়ের পাশাপাশি পরিবহন খরচও হবে সাশ্রয়ী। উন্নত ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা আশুলিয়া শিল্পা লে নতুন নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করবে। এতে প্রচুর নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। বিশেষ করে ঢাকা—আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটি ঢাকার গাবতলী, সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেড সংলগ্ন এলাকার যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, যা সেসব এলাকায় শিল্প বিকাশে আরো সহায়ক হবে। এ এক্সপ্রেসওয়েটি ডিইপিজেড থেকে আশুলিয়া— বাইপাইল—আব্দুল্লাহপুর হয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রন্তে নির্মাণাধীন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হবে। এতে দেশের ৩০ জেলার অন্তত ৪কোটি মানুষ উপকৃত হবে।

ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়েটির মোট দৈর্ঘ্য ২৪ কিলোমিটার। অন্যদিকে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটির মোট দৈর্ঘ্য ১৯ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। দুটি এক্সপ্রেসওয়ের মোট দৈর্ঘ্য দাঁড়াবে ৪৩ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। রাজধানী ও ঢাকা শহরের উত্তরা ল তথা সাভার, আশুলিয়া, নবীনগর ও ইপিজেড সংলগ্ন শিল্প এলাকার যানজট নিরসন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্রুত উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শুরু হয়, শুরুতে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ১৬ হাজার ৯০১ কোটি টাকা। যার ৬৫ শতাংশ অর্থাৎ ১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বা ১০ হাজার ৯৪৯ কোটি টাকা দিচ্ছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। ঢাকা— আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হলে দেশের উত্তর—পশ্চিমা লের প্রায় ২০টি এবং দক্ষিণ—পশ্চিমা লের প্রায় ৫ থেকে ৬টি জেলার মানুষ আশুলিয়া—নবীনগর—বাইপাইল হয়ে সহজে দ্রুত ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে। সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জেলার আনুমানিক চার কোটি মানুষ এ প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবে।

প্রকল্প পরিচালক মোঃ শাহাবুদ্দিন খান গণমাধ্যমকে বলেন, ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ও ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত হবে। এভাবে পরিকল্পনা করেই দুটি প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলছে। এ দুটি এক্সপ্রেসওয়ে পুরোপুরি চালু হলে ইপিজেড থেকে সরাসরি পণ্যবাহী যানবাহন ঢাকার ওপর দিয়ে চট্রগ্রাম চলে যাবে। এখন ঢাকার ভেতরে যানজটের কারণে দিনে পণ্যবাহী যানবাহন চলে না। দুটি এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তা থাকবে না। তখন রাজধানী ও ঢাকা শহরে কোনো ধরণের যানজট বা প্রতিবন্ধকতা তৈরি না করেই পণ্যবাহী যানবাহণ চলাচল করবে। এতে আমাদের রপ্তানি খাতেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ঢাকা—আশুলিয়া উড়াল সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো সমস্যা নেই। সব বাধা কাটিয়ে দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে প্রকল্পের কাজ। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২২ সালের জুন মেয়াদে প্রকল্পের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্ধারণ ছিলো। মেয়াদ চার বছর বাড়িয়ে এখন ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। সূত্র জানায়, উক্ত ঢাকা—আশুলিয়া এক্সপ্রেসওয়ে উড়াল সড়কের নির্মাণ কাজ দেখিয়ে আশুলিয়ার ড্রেনেজ ব্যবস্থা ও শাখা রোডগুলোর কাজ তেমন করছেন না সংশ্লিষ্টরা। এদিকে সরকারি নয়নজুলি খালটি প্রভাবশালীদের দখলে, যা গত ৫০ বছরেও উদ্ধার হয়নি। এই খালটি প্রভাবশালীদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হলে আশুলিয়ার ড্রেন সচল রাখা যাবে বলে এলাকাবাসী জানান।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved , sokalerbangla.com
Theme Customized BY LatestNews