হেলাল শেখঃ বর্তমানে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে রেলপথে পৌঁছাতে সময় লাগপ ৫-৬ ঘণ্টা। তবে, যদি বুলেট ট্রেনের পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হয়, তাহলে এই যাত্রা মাত্র ৫৫ মিনিটে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে। এ ধরনের দ্রুতগতির ট্রেন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন ও জনজীবনে অভাবনীয় পরিবর্তন আনতে পারে।
*কি ধরনের ট্রেন হবে এটি?*
পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই ট্রেনের গতি ঘণ্টায় ২০০ থেকে ৩০০ কিলোমিটার হতে পারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ধরনের ট্রেন “হাই-স্পিড রেল” বা “বুলেট ট্রেন” নামে পরিচিত। যাত্রীদের আরামদায়ক এবং দ্রুত যাতায়াত নিশ্চিত করতে আলাদা ট্র্যাকে আধুনিক প্রযুক্তির রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
*কি কি চ্যালেঞ্জ রয়েছে?*
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রধান বাধা হবে বিশাল বাজেট ও জমি অধিগ্রহণ। তাছাড়া, হাই-স্পিড রেলের জন্য উন্নত অবকাঠামো, নিরাপত্তা এবং প্রযুক্তি-সক্ষমতার প্রয়োজন হবে। এছাড়াও, দীর্ঘমেয়াদী রক্ষণাবেক্ষণও একটি গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
*আশা ও বাস্তবতা*
এখন পর্যন্ত এটি একটি প্রাথমিক পর্যায়ের পরিকল্পনা হলেও, সরকার যদি যথাযথ অর্থায়ন, প্রযুক্তি এবং সময়মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে, তবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রথম বুলেট ট্রেন একটি বাস্তবতা হতে পারে। তবে, এই পথটি সহজ নয়; এটি সময়সাপেক্ষ এবং যথেষ্ট প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে বলে অনেকেই অভিমত প্রকাশ করেন।