মারুফ সরকার, স্টাফ রিপোর্টার: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত আজ বলেছেন, তিনি ঢাকা-১৭ আসনের বাসিন্দাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখবেন এবং তাদের ভোটে নির্বাচিত একজন সংসদ সদস্য হিসেবে তাদের সমস্যা সমাধানে তার প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমি এই নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের এমনকি প্রতিটি মানুষের কাছ থেকে আপনাদের কথা শুনব এবং আপনাদের পক্ষে কাজ করব। ’
রাজধানীর বনানী বিদ্যানিকেতন স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে ঢাকা-১১-এর সংসদ সদস্য মো. ওয়াকিল উদ্দিনকে দেওয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরাফাত এসব কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী এবং এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় আরাফাতের জন্য ঢাকা মহানগর উত্তরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এ সম্বর্ধনার আয়োজন করে।
বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার অঙ্গীকারও করেন আরাফাত।
তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গণতন্ত্রকে রক্ষা করেছে এবং দেশে গণতান্ত্রিক চর্চা নিশ্চিত করেছে।
এ নির্বাচন শুধু সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার জন্য নয় বরং যারা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিল এটা তাদের জন্য যথার্থ জবাব বলেও উল্লেখ করেন প্রতিমন্ত্রী ।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী ভোটার উপস্থিতি ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ছিল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন দেশে বসবাস করছেন না এবং দেশের মধ্যেও এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলে গেছেন তাদেরটা হিসেব করা হয়নি।
প্রায় ১.২৭ কোটি ভোটার অর্থাৎ আমাদের দেশের ১০ শতাংশ ভোটার দেশে থাকেন না এবং ১০-১৫ শতাংশ ভোটার দেশের মধ্যেই স্থান পরিবর্তন করেছেন, কিন্তু তারা নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করেন না।
সুতরাং, আমরা যদি ভোটারের প্রকৃত হার নির্ধারন করতে চাই তবে আমাদেরকে ৭৫ শতাংশ ভোটারের মধ্যে গণনা করতে হবে। কারণ আপনি প্রতিটি আসনে গড়ে ২৫ শতাংশ ভোটার খুঁজে পাবেন না। সুতরাং, আমরা বলতে পারি প্রায় ৬০ শতাংশ ভোটার নির্বাচনে তাদের ভোট দিয়েছেন। একই সমস্যা তার নির্বাচনী এলাকায়ও রয়েছে।
নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসরদের ভোট বর্জনের আহ্বান ও হুমকির মধ্যেও জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচন সফল করেছে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও তাদের মিত্ররা নির্বাচন বানচাল করতে হরতাল, অবরোধ ইত্যাদি ডেকে বাস, ট্রেনের কোচে আগুন দেওয়াসহ নাশকতামূলক কর্মকান্ড চালালেও জনগণ নির্বাচনে ভোট দিয়ে তাদের যথাযথ জবাব দেওয়ায় তারা ব্যর্থ হয়েছে।
১৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি এবং আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি ওয়াকিল উদ্দিন এমপি প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য গোলাম রব্বানী চিনু, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শবনম জাহান শিলা, বনানী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মীর মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের পর বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।