হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিন যতই যাচ্ছে ততই শীতের প্রকোপ বাড়ছে দিনাজপুরের হিলিতে। টানা তিনদিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না দুপুরের পরেও। আবারও বিকেল থেকে পড়া শুরু করছে কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে,আজ শুক্রবার দিনাজপুর জেলা ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের প্রকোপকে। তারপরেও প্রয়োজনের তাগিদে বাড়ি থেকে বের হতে যাচ্ছে মানুষকে। ট্রেনসহ যানবাহন চলাচল করছে ধীরগতিতে।কুয়াশার কারণে জ¦ালাতে হচ্ছে হেডলাইট। শীত উপেক্ষা করে মানুষ ছুটছে তাদের গন্তব্যে। ভির করছে ট্রেন ও স্টেশনসহ বাস ষ্টান্ডে। ব্যবসায়ীরা দোকান খুলে বসে থাকলেও মিলছে না কাঙ্খিত ক্রেতা। বেশি দুর্ভোগে পড়েছে বয়স্ক মানুষেরা।
দিনমজুর আবেদ আলী বলেন,খুব ঠান্ডা পড়ছে বাবা।এই শীতে কেউ কাজে নিতে চায় না। তিন থেকে কাজ করতে এসে বাড়ি ঘুরে যাচ্ছি।আর কাজ না করলে খাওন জুটে না।শীত আর বর্ষা হলে আমাদের খুব কষ্ট হয়।শীত আর বর্ষায় তেমন কাজ কাম হয় না।আমাদের মত গরীবের কেউ খুজ নেই বাবা।
টাক্টর চালকের সহকারী শহিদুল ইসলাম জানান,বাড়ি থেকে কাজের সন্ধানে বের হয়েছি। টানা তিনদিন কুয়াশায় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত কিছু দেখা যায় না। তার সাথে হিমেল হাওয়া গাড়িতে বসে থাকা যায়না।খুব কষ্ট হয়।আজকে বাতাস একটু বেশি তাই আজ আমরা গাড়ি ঠিক করতেছি।
টাক্টর চালক আনিছুর রহমান বলেন,জীবিকার তাগিদে গাড়ি নিয়ে বের হয়েছি।আমরা একদিন গাড়ী না চালালে বেতন পাইনা।আমরা টিপ হিসাবে বেতন পাই। যত বেশি টিপ মারতে পারি তত বেশি টাকা পাই।এক গাড়ী বালুর টিপ মারলে লেবার পায় ৪ শত থেকে ৫ শত টাকা আর আমি পাই ৬ শত টাকা। কয়েক দিন থেকে খুব কুয়াশা আর ঠান্ডা বাতাস তাই বেশি টিপ মারতে পারছি না। সারাদিনে ২ থেকে ৩ হাজার টাকা ইনকাম হয়। কোন দিন আবার বসে থেকে দিন যায়।
গোলাম মোস্তাফিজার রহমান মিলন
হিলি,দিনাজপুর