মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন, সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা পটিয়া উপজেলায় ৫০০ শয্যার হাসপাতালের জায়গা পরিদর্শন করলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুরে তিনি পটিয়া উপজেলার কুসুমপুর ইউনিয়ন এলাকায় নতুন উপজেলা ভবনের পাশের জায়গাটি হাসপাতালের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি হাসপাতাল নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা ও সম্ভাবনা মূল্যায়ন করেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেন।
এছাড়া আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিকল্পনা ও অগ্রগতির বিষয়েও দিক নির্দেশনা প্রদান করেন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা। পাশাপাশি এই স্থানে হাসপাতাল নির্মিত হলে শুধু কর্ণফুলী উপজেলাই নয় বরং পার্শ্ববর্তী অন্তত তিনটি উপজেলার জনগণ সহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য সেবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা নুরজাহান বেগম।
চমেক হাসপাতালের চাপ কমবে: প্রতিদিন যেখানে ৩৩০০ রোগী ভর্তি হয়, সেখানে অতিরিক্ত চাপ কমাতে এই নতুন হাসপাতাল বড় ভূমিকা রাখবে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের নিজস্ব সেবা কেন্দ্র: লোহাগাড়া, সাতকানিয়া, পটিয়া, আনোয়ারা, বাঁশখালী ইত্যাদি অঞ্চলের মানুষকে আর শহরের কেন্দ্রে ছুটতে হবে না।
জরুরি সেবা আরও দ্রুত: দূরত্ব কমার ফলে রোগীরা দ্রুত চিকিৎসা পাবেন, জীবন রক্ষার সম্ভাবনাও বাড়বে।
চিকিৎসা খরচ কমবে: ঢাকাগামী বা চট্টগ্রাম শহরমুখী যাতায়াত ব্যয় কমে যাবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, উপদেষ্টার একান্ত সচিব ডা. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. অং সুই প্রু মারমা, চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, কেডিএস গ্রুপের চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান আবার,
কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (চলিত দায়িত্ব) রয়া ত্রিপুরা, পটিয়া উপজেলা কুসুমপুর ইউনিয়নে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোছাম্মৎ জেবুন্নেসা প্রমুখ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(চলিত দায়িত্ব)
রয়া ত্রিপুরা বলেন,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সহ এর পার্শবর্তী কয়েক একর জায়গা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা সম্বলিত ৫০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণে আগ্রহী, সে লক্ষ্যে স্থাস্থ্য উপদেষ্টা স্থান পরিদর্শন করেছেন এর পরবর্তীতে মন্ত্রণালয় এর নির্দেশনা মোতাবেক কার্যক্রম হবে।