দৈনিক সকালের বাংলা ডেস্কঃ জেলার হাকিমপুর উপজেলা হিলি পৌরসভা এলাকায় মাশরুম চাষ করে নিজেকে সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন গৃহবধূ শাপলা আক্তার। তিনি অন্যান্য নারীদের স্বাবলম্বী করতে মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।
গতকাল সোমবার বিকেলে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি পৌরসভার দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামের গৃহবধূ শাপলা আক্তার (৩৪) এর সঙ্গে তার মাশরুম চাষের সফলতা নিয়ে কথা হয়।
তিনি জানান, প্রায় ৩ বছর আগে হিলি পৌরসভা শহরের দক্ষিণ বাসুদেবপুর গ্রামে হীরামতি সিনেমা হলের পূর্ব পাশে ২৯টি মাশরুমের বেড দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিলেন। এখন তার খামারে প্রায় ৫ হাজার মাশরুম বেড রয়েছে। বেড তৈরির ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে মাশরুম উৎপাদন হয়। প্রতিদিন খামার থেকে উত্তোলন করেন ৭ থেকে ৮ কেজি মাশরুম। প্রতিকেজি মাশরুম ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। এতে মাসে তার আয় হয় ৩৫ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা।
ওই এলাকার আর এক নারী উদ্যোক্তা আরমিন আক্তার পলি (৩৫) বলেন, আমার একটি ছাদ বাগান আছে। আমার ছাদ বাগানে বিভিন্ন ধরনের ফলের গাছ ও কিছু সবজি চাষে সফলতা অর্জন করছি।এখন মাশরুম চাষী শাপলা আপার বাসায় আসছি, প্রশিক্ষণ নিতে। তিনি মাশরুম চাষ করে যেভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন আমিও একদিন নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলবো।
মাশরুম চাষে প্রশিক্ষণ নিতে আসা তাছলিমা আক্তার (৩৩) বলেন, প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য গ্রাম থেকে এখানে এসেছি। আশা করছি, মাশরুম চাষ করে ভালো কিছু করতে পারব।
মাশরুম চাষী শাপলা আক্তার বলেন, মাশরুম চাষে তেমন কোনো খরচ নেই। বর্তমানে অনেক নারী প্রশিক্ষণ নিতে আসছেন। আশা করছি, প্রশিক্ষণ নিয়ে তারাও স্বাবলম্বী হবেন।
হাকিমপুর উপজেলার নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক হামিদা আক্তার ডালিয়া (৩৮) বলেন, আমরা নারী, আমরাও পারি। শহর কিংবা গ্রামে আমরা পৌঁছে যাব সব খানে নিজেদের প্রচেষ্টায় স্বাবলম্বী হয়ে। পুরুষের পাশাপাশি হাকিমপুের নারী উদ্যোক্তারা এগিয়ে যাচ্ছি। সংসারের হাল ধরতে স্বামীর পাশাপাশি আমরাও আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছি।
হাকিমপুর উপজেলা নারী উদ্যোক্তা ফোরামের সভাপতি রোমেনা আক্তার মনি (৪৫) বলেন, শাপলা আক্তার একজন সফল নারী উদ্যোক্তা। তিনি এখন নারীদের স্বাবলম্বী করতে প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। নারীদের বলব, আপনারা ঘরে বসে না থেকে কিছু একটা করে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেন। দেখবেন সংসার এবং সমাজে আপনার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে।