নিহত পরীক্ষার্থীর খালু মো. মহব্বত জান বলেন, গত বুধবার (৬নভেম্বর ) সন্ধ্যার সময় আমার ভায়রার ছেলে মাগরিবের নামাজ পড়তে গ্রামের একটি মসজিদে যায়। নামাজ পড়ে সে আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। দীর্ঘ সময় পরেও সে বাড়িতে না আসায় তার পরিবারের লোকজন মসজিদে খোঁজ নেন। সেখানে গিয়ে তাকে না পাওয়ায় সকল আত্মীয় স্বজনের বাড়ি খোঁজখবর করতে থাকেন। এ পর্যন্ত তাকে কোথাও খুঁজে না পাওয়ায় তারা হতাশ হয়ে পড়েন। এরমধ্যে এদিন বুধবার বিকেলে স্থানীয়রা মাঠের মধ্যে কয়েকটি হাড় ও নাড়ি-ভুড়ি ছড়িয়ে থাকতে দেখে। এরপর তারা সেখানে খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে ধান ক্ষেতের ভেতরে একটি গর্ত দেখতে পায়। সেখানের মাটি সরিয়ে দেখে একটি অর্ধগলিত মরদেহ রয়েছে। এ খবর পেয়ে আমার ভায়রা ও শালিকা গিয়ে তার শার্ট ও লুঙ্গি দেখে তাদের ছেলের মরদেহ বলে সনাক্ত করে।
পত্নীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ শাহ মোঃ এনায়েতুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে নিহতের হাড়গোড় পাওয়া গেছে। আমরা তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। উদ্ধার করা হাড়-গোড়ের ডিএনএ টেস্ট করার পর তার পরিচয় নিশ্চিত হতে পারবো। তবে মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবারের দাবি এটা তার মরদেহ। এ ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।