
সজিব হসেন, নওগাঁ প্রতিনিধি: পলিটেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটের ২১ সালের নিয়োগ প্রাপ্ত অবৈধ ক্রাফটরদের করা মামলার রায়ের প্রতিবাদ এবং ৬ দফা দাবিতে রাস্তা করে নওগাঁয় বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
শনিবার (২২ মার্চ) দুপুর ১২ টায় পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহররে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মুক্তির মোড় শহীদ মিনারের সামনে রাস্তা অবরোধ করে ঘন্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন প্রতিবাদ সমাবেশ করে। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।
পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে একাত্বতা প্রকাশ করে তাদের দাবির প্রেক্ষিতে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দিলে শিক্ষার্থীরা রাস্তা ছেড়ে দেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ক্রাফট ইন্সট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের না, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের ল্যাবের সহকারী কর্মচারী। তারা মূলত অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস। তাদের ডিপ্লোমার শিক্ষক হওয়ার কোনো যোগ্যতা নেই। তারা যদি ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউটের শিক্ষক হন, তাহলে ডিপ্লোমা ছাত্ররা কতটুকু শিখবে। জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর শুধুমাত্র ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং স্টুডেন্টদের জন্য। ক্রাফট ইন্সট্রাক্টরদের জুনিয়র ইন্সট্রাক্টর হিসেবে প্রমোশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কারিগরি সেক্টর ধ্বংসের পাঁয়তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন।
নওগাঁ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সিভিল টেকনোলজি বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের আবু হুরাইরা হাসিব বলেন, এইচএসসি পাশ করে যদি মামা থেকে মাস্টার হওয়ায় যায় তাহলে তো আমাদের এতো কষ্ট করে ডিপ্লোমা করার কোন প্রয়োজন নেই। আমাদের মা বাবারা প্রতি সেমিস্টারে আমাদের পিছনে এতো হাজার হাজার টাকা খরচ করছেন কীসের জন্য? এইচএসসি পাশ করে তারা যদি এতো বড় বড় পদ পায় তাহলে আমাদের ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালানো ছাড়া কোন উপায় নেই। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে ঢাকায় লংমার্চ করবো।
আরেক শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন বলেন, ২১ সালে নন টেকনিক্যাল থেকে বিতর্কিত ভাবে ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা শুধু ল্যাবের লাইট ফ্যানের সুইজ বন্ধ করা ছাড়া কিছুই করতে পারেনা। একটি রায়ের মাধ্যমে ৩০শতাংশ নন টেকনিক্যাল ক্রাফট ইন্সট্রাক্টর নিয়োগ দেয়া হচ্ছে যা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এটি আমাদের সঙ্গে এক প্রকারের বৈষম্য করা হচ্ছে। আমরা চাই আমাদের দাবি যেন দ্রুত’ই বাস্তবায়ন করা হয়।
নওগাঁ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইবনুল আবেদীন বলেন, তাদের দাবিগুলো শুনেছে। দাবিগুলোকে যৌক্তিক মনে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সকল দাবির প্রতি আমরা একাত্মতা ঘোষণা করছি। সকল দাবি যেন সুনির্দিষ্ট উদ্যোতন কর্তৃপক্ষ নিকট নিয়ে আসা যায় তারজন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।