নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁয় সাত দিনব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন করা হয়েছে । বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে নওগাঁ কৃষ্ণধন (কেডি) সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এস এম জাকির হোসেন। স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ নওগাঁ এ মেলার আয়োজন করেছে।
বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী মঞ্চে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে একুশে পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক রণজিৎ কুমার পাল ও সহসাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপুল কুমারের পরিচালনা ও নির্দেশনায় থাকবে শতকণ্ঠে কালজয়ী ভাষার গান ও দেশবরেণ্য আবৃত্তি শিল্পী টিটো মুন্সীর একক আবৃত্তি পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়া উদ্বোধনী দিনে পাঠাগার ও পরিবেশ আন্দোলনে অবদান রাখায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এবং নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার আগ্রদ্বিগুন এলাকায় মুজিবুর রহমান স্মৃতি পাঠাগারের প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবিরকে একুশে পরিষদ নওগাঁর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবারের মেলায় প্রথমা প্রকাশনসহ জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের ১৮টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছে। এ ছাড়া মেলায় স্থানীয় বেশ কিছু বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানেরও স্টল থাকবে। বইয়ের স্টল ছাড়াও মেলায় হস্তশিল্প ও কুটির শিল্পের পণ্যসামগ্রীর স্টল থাকবে। মেলায় মোট ৮০টি স্টল রয়েছে। প্রতিদিন এটি হবে স্থানীয় লেখক, গবেষক ও সংস্কৃতিকর্মীদের মিলনমেলা। এ ছাড়া স্থানীয় লেখকদের নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হবে।
মেলায় সাত দিন ধরে একুশে পরিষদের আয়োজনে শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে সাধারণ জ্ঞান, গদ্যপাঠ, সুন্দর হাতের লেখা, চিত্রাঙ্কন, আবৃত্তি ও ভাষার গানের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। মেলা প্রাঙ্গণের অস্থায়ী মঞ্চে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত নওগাঁর স্থানীয় সংগীত একাডেমি ও নৃত্য একাডেমির শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
মেলার শেষ দিন ২১ ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের। আলোচনা সভায় শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক জুলফিকার মতিন মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। মেলার শেষ দিনেও