নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
লক্ষ্মীপুর জেলায় গতকাল রাত ১১টা ১৫মিনিটে বৃষ্টি শুরু হয়। সেই একই ধারায় এখনো বৃষ্টি হচ্ছে। মাঝে মধ্যে বৃষ্টি থামলে আবরও শুরু হয়। বন্যা-জলবদ্ধতায় নতুন নতুন এলাকা ডুবছে লক্ষ্মীপুর জেলা।
আজ রোববার (২৫ আগস্ট) সকাল থেকে নতুন করে পানির চাপ বেড়েই চলেছে সর্বত্র।
এর পূর্বে গতকাল শনিবার নোয়াখালীর পানির চাপ আসা শুরু করে লক্ষ্মীপুর জেলায়। এরসঙ্গে যোগ হয় রাতের ভারী বৃষ্টি। এতে করে লক্ষ্মীপুর জেলার শহরসহ ৫টি উপজেলায় ও ৬টি থানা সদর, রায়পুর ও রামগঞ্জে সকাল থেকে পানি বাড়তির দিকে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর, রামগতি, কমলনগর, রামগঞ্জ ও রায়পুরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
এর পূর্বে শনিবার লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসন জানায়, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬ লাখ ৫৭ হাজার মানুষ পানিবন্দি। এজন্য ৩'শ ৯৫ মেট্রিক টন চাল ও ১০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও স্থায়ী ও অস্থায়ী ১'শ ৮৯টি সাইক্লোন শেল্টারে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে।
চারদিকে পানি থই থই। অনেক এলাকায় কোমর সমান পানি রয়েছে। ঘর-বাড়ির ভেতরেও পানি। সদরের রহমতখালী খাল, ওয়াপদা খাল, রামগতি, কমলনগরের ভুলুয়া নদী, রামগঞ্জের ওয়াপদা, বিরেন্দ্র খাল, রায়পুরের ডাকাতিয়া নদীসহ বিভিন্ন স্থানে নদী-খাল থেকে আশানুরূপভাবে পানি নামছে না।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়পুরের দেনায়েতপুর, কেরোয়া, চরপাতা, বামনী, সদরের উত্তর ও দক্ষিণ হামছাদী, দালাল বাজার, বশিকপুর, চন্দ্রগঞ্জ, দত্তপাড়া, চরশাহী, ভবানীগঞ্জসহ নতুন-নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এসবের অধিকাংশ এলাকায় দুইদিন আগে সামান্য জলাবদ্ধতা থাকলেও এখন পানি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
রায়পুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহেদ আরমান বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে ডাকাতিয়া নদী ও সংযোগ খালের কয়েকটি স্থানে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করা হয়েছে।
লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ-উজ জামান খান বলেন, লক্ষ্মীপুরে গতরাতে ৭৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এতে নতুন করে লক্ষ্মীপুর শহরসহ কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।