সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ): পাবনা সুজানগর উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল বারী মিয়ার ছোট ছেলে শাকিল মিয়া (৪০) গণমাধ্যমকে জানায়, আমার পিতা মাতার পৈত্রিক সম্পত্তি আমার বড় ভাই মোঃ নাসির উদ্দিন মিয়া অনেকদিন যাবত অন্যায় ভাবে আমার পাওনা জমি আত্মসাৎ করেছে, এ বিষয়ে কিছু বললে আমাকে মারধর গাড়ি ভাঙচুর ইত্যাদি করে আসছে, আমি তা মুখ বুঝে নীরবে সহ্য করেছি, আমার পিতার সম্পত্তি মার্কেট পজিশন জমিগুলো সমানভাগে ভাগ করতে বললে বিভিন্ন তালবাহানা করে তিনি এক দাগের জমি আরেক দাগ দেখিয়ে পজিশনের জমি থেকে নিজে বেশি নিয়ে আত্মসাৎ করে আমাকে কম দেয়।
ভুক্তভোগী ভাইয়ের দাবী অনেক দিন যাবত জমি সংক্রান্ত ঝামেলা নিয়ে এলাকার বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তি বর্গগণ বারবার বসে বিষয়টি নিয়ে একটি সিদ্ধান্ত আসলেও আমার বড় ভাই তা মেনে নেয়না। আমার বড় ভাই মোঃ নাছির উদ্দিন মিয়া একটি ভুয়া দলিল করে নিজের ইচ্ছা মতো জমির পজিশন নিয়েছে, আমাকে কম দিয়েছে। যাহার স্টাম্প নাম্বার ড ৪০৬৫২৯৬, স৫৬৯১২১৭, স৫৬৯১২১৬, স৫৬৯১০৭৫, স৫৬৯১২১৩, থ৪৯১৬৭০৪, খথ৪৯১৬৭০৫, দিয়ে একটি দলিল বানিয়েছিল যাহা আসলে ভুয়া। আমি একটি বিষয়ে অবগত করতে চাই আপনাদের সুজানগর উপজেলার মৌজা গোবিন্দপুর জে, এল, নং ১৩৪ দাগ নাম্বার ১৪৯, ১৪৮, ১৪৪, ১৪৫ পজিশন সম্পত্তি থেকে আমরা দুই ভাই সমান অংশীদার আমি বলতে চাই প্রত্যেক দাগ থেকে সমান ভাগে ভাগ করে দিতে। জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আমার বড় ভাই মোঃ নাছির উদ্দিন মিয়া আমিনপুর থানা একটি অভিযোগ করেছে সেখানে একটি বিচারের ধার্য করা হয়েছিল আমি উপস্থিত থাকলেও তিনি সেখানে উপস্থিত ছিল না। এভাবে তিনি আমাকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানি করেছে, আমি এই হয়রানির বিচার চাই, সেই সাথে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির প্রত্যেক দাগে দাগে থেকে সমান অংশীদার হিসেবে বুঝে নিতে চাই।
এ ঘটনার বিষয় আমিনপুর থানা অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মোঃ আলমগীর হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, এ বিষয়ে মোঃ নাছির উদ্দীন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে, শান্তি রক্ষার্থে একটি তারিখ ধার্য করলে মোঃ শাকিল মিয়া উপস্থিত থাকলেও অভিযোগকারী মোঃ নাসির উদ্দিন মিয়া ছিলো অনুপস্থিত, তাই সম্ভব হয়নি শান্তি রক্ষার্থে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
এ দিকে উক্ত বিষয়ে বক্তব্য নিতে নাছির উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।