পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আমাদের যা করার দরকার তা আমরা করব। শেষ মুহূর্তে এসে অনেক কিছুই করা যায় না। সময়ের মধ্যে যতটুকুই পারি আমরা উন্নয়ন কাজ করতে চাই। আমরা দেশের আর্থিক উন্নয়ন ও মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন চাই।
আজ বিকালে বান্দরবান জেলা শহরের রাজার মাঠে মৈত্রী পানি বর্ষণ উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, বান্দরবানের মানুষ বরাবরই খুব ভালো। তারা কালারফুল। বারোটি সম্প্রদায় একত্রিত হয়ে বান্দরবানে মিলেমিশে থাকছে। বিদেশিরাও তা জেনে গেল। এটা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, পার্বত্য জেলা পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ প্রকৌশলভিত্তিক কাজ করে থাকে। এ ব্যবস্থার পরিবর্তন চাই, যেন শিক্ষাভিত্তিক উন্নয়ন হয়। তিনি আরো বলেন, দেশি বিদেশি পর্যটক বান্দরবানে আসুক এইটা আমাদের প্রত্যাশা। আর ১২টি জাতিগোষ্ঠীর এমন সংমিশ্রণ ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সবাইকে মুগ্ধ করে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের সার্বিক আর্থিক উন্নয়নের জন্য এখানে চাঁদাবাজি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, বর্তমানে পাহাড়ে শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজমান। বিদেশিরা এসে তা দেখে যাচ্ছে।
নববর্ষকে ঘিরে ‘সাংগ্রাই’ এর মৈত্রী পানি বর্ষণে ৫ দিনব্যাপী মেতে উঠেছিল বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়। মৈত্রী পানি বর্ষণ এই উৎসবকে মারমা সম্প্রদায় সাংগ্রাই বলে থাকে। নতুন বছরকে স্বাগত জানাতেই মারমা’রা সাংগ্রাই উৎসবকে কেন্দ্র করে মৈত্রী পানি বর্ষণ আনন্দে মাতোয়ারা হয়ে উঠে।
এই উৎসবে উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমার সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত ও তার স্ত্রী-কন্যা, ইতালির রাষ্ট্রদূত, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ও আইনবিদ অংশ নেন। পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাই, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার মহোত্তম, যুগ্ম সচিব কঙ্কন চাকমা, সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান, জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি, পুলিশ সুপার মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার, উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি চনুমং মামা-সহ সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।