হেলাল শেখঃ ঢাকার আশুলিয়ার বাইপাইল—আব্দুল্লাহপুর সড়কের ফুটপাত দখল করে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, ট্রাফিক আইন মানছে না কেউ—শিশু কিশোররাও এখন গাড়ি চালক, এতে বাড়ছে বিভিন্ন সড়ক দুর্ঘটনা। সংশ্লিষ্ট পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরাসহ সচেতন মহল। সেই সাথে সড়কের দুইপাশে ক্লিনিকের সামনে বিভিন্ন ওষুধ কোম্পানির মোটরসাইকেলসহ অবৈধ গাড়ি পার্কিং করার অভিযোগ, এর কারণে সড়ক ও মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। লাইসেন্সবিহীন অবৈধ মাহিন্দ্রাসহ তিন চাকার বিভিন্ন গাড়ি চলাচল করছে সড়কে।
শনিবার (১৯ আগস্ট ২০২৩ইং) সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকার আব্দুল্লাহপুর—আশুলিয়ার বাইপাইল সড়কের জামগড়া ল্যাব ওয়ান ডায়াগনোষ্টিক সেন্টারসহ বিভিন্ন ক্লিনিকের সামনে মোটরসাইকেল রাখা হয়, সাথে রিক্সা থামিয়ে রেখেছে চালকরা। শাখা রোডের মুখে তিন চাকা অটোরিক্সাও দেখা যায় চোখে পড়ার মতো। তিন চাকা অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রাগুলো বেশি বেপরোয়া ভাবে চলাচল করায় সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন অনেকেই। এসব গাড়ি চালকদের কোনো প্রকার প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে দুর্ঘটনা ঘটে বলে অনেকেই জানান।
সাভার ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্বরত (এসআই) আনোয়ার হোসেন বলেন, রাস্তায় তেমন কোনো যানজট নেই, আশুলিয়ার নরসিংহপুর সরকার মার্কেট ও জামগড়ার শিমুলতলা আমাদের পুলিশের সদস্য ডিউটি করেন না, তবে মাঝে মধ্যে কোনো সমস্যা হলে দ্রুত সেখানে পুলিশ গিয়ে কাজ করেন বলে তিনি দাবি করেন, এর বেশি কিছু আমি বলতে পারিনা, সাভার (টিআই: প্রশাসন) স্যারের কাছ থেকে জেনে নিলে ভালো হয়। যানজটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয় অবৈধ তিন চাকা অটোরিক্সার কারণে তবে আমি থাকা অবস্থায় যানজট হতে দেই না তা আপনারা অনেকেই জানেন। ট্রাফিক আইন মানছেন না বেশিরভাগ মানুষ—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সচেতনতার অভাবে মানুষ ট্রাফিক আইন অমান্য করে রাস্তা পারাপার হয়ে থাকে, এর কারণে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতের ঘটনা ঘটে।
ট্রাফিক বিভাগের সাভার জোনের ট্রাফিক পুলিশ অফিসার ইনচার্জ (টিআই) অনেকেই বলেন, সড়কের যানজট পূর্বের তুলনায় অনেকটা কম আর সড়ক দুর্ঘটনাও অনেকটা কমেছে। তারা দাবি করেন যে, সড়ক দুর্ঘটনার মূলত কারণ চালকদের অসাবধানতা। তিন চাকা অটোরিক্সা ও মাহিন্দ্রার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, এসব অবৈধ যানবাহন সড়কে চলতে পারবে না। ঢাকা জেলার সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া ট্রাফিক পুলিশ বক্সের এড়িয়াতে মাত্র ২জন কনস্টেবল ও ১জন (এসআই) ডিউটি করেন, ৩জন ডিউটি করলে অনেক সময় যানজট হতে পারে, ট্রাফিক আইন মেনে চললে দুর্ঘটনা কম হয় কিন্তু চালক ও পথচারীরা ট্রাফিক আইন মানছেন না, মানুষ ট্রাফিক আইন না মেনে উল্টা পথে চলার কারণেও সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে থাকে। জানা গেছে, ঢাকা—টাঙ্গাইল মহাসড়কে ও নবীনগর—পাটুরিয়া, আরিচা মহাড়কে বিভিন্ন যানবাহন থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে, জিপি নামক চাঁদাবাজির কৌশলে পরিবহন সেক্টেরে বিশাল জটিলতা সৃষ্টি করে।