প্রিন্ট এর তারিখঃ নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ২:৫৫ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৩, ১:৩১ পি.এম
বিএনপির ‘তারুণ্যের রোডমার্চ’ ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তিরযুদ্ধ শুরু হয়েছে– নওগাঁর পথসভায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
নওগাঁ প্রতিনিধিঃ বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ভোটের অধিকার রক্ষা ও গণতন্ত্র মুক্তিরযুদ্ধ শুরু হয়েছে, ভোটের অধিকার রক্ষার এই যুদ্ধে হেরে গেলে বিএনপির খুব বেশি ক্ষতি হবে না। এই যুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে। এই যুদ্ধে হেরে গেলে হেরে যাবে বাংলাদেশ। বগুড়া থেকে রাজশাহী রোডমার্চে রোববার দুপুরে দুপুর ২টায় নওগাঁর জেলখানা রোড মোড়ে জেলা বিএনপি আয়োজিত সংক্ষিপ্ত পথসভায় তিনি এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বারবার শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের দাবিগুলো তুলে ধরেছি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে দেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আওয়ামী লীগ বারবার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করেছে। যে সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে জনগণ ভোট দিতে পারে না, ভোট চুরি হয়ে যায়, ডাকাতি হয় যায়, সেই সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া যায় না। শুধু বিএনপি নয়, দেশের সব রাজনৈতিক দল, গণতন্ত্রকামী সকল জনগণ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চায়। তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের চূড়ান্ত আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। তারুণ্যের রোডমার্চের লক্ষ্য তরুণ-যুবসমাজকে জাগিয়ে তোলা এবং সরকার হটানোর চূড়ান্ত আন্দোলনে সম্পৃক্ত করা। ২০১৪ সালের আগে ভোটার হয়েছেন এমন লাখ লাখ তরুণ ভোট দিতে পারেনি । এই তরুণরা উম্মুখ হয়ে আছে। লাখ লাখ তরুণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এই রোডমার্চ। আগামী দিনে যে সব আন্দোলন কর্মসূচির ডাক আসছে, সেই সব আন্দোলনে সাধারণ জনগণকে সাথে রাজপথে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। এই লড়াই গণতন্ত্র ফিরিয়ে পাবার লড়াই। এই লড়াই জনগণের ভোটের অধিকার রক্ষার লড়াই। এই লড়াইয়ে জিততেই হবে।পথসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু। এ সময় নওগাঁ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে নান্নু, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সমবায়বিষয়ক সম্পাদক নজমুল হক, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ওরফে ধলু, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম, মামুনুর রহমান ওরফে রিপন প্রমুখ। আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর এইবার বাংলাদেশের জনগণের সামনে আরেকটি বড় যুদ্ধ। এই যুদ্ধে জয়লাভ করতেই হবে। বাংলাদেশের জনগণ কখনও হারেনি, এবারেও হারবে না। এবারের বাংলাদেশের মানুষ তাঁদের মালিকানা ফিরিয়ে নিতে চায়। পাকিস্তানি দখলদারদের বাংলাদেশের মানুষ যেভাবে পরাজিত করেছে, এই দখলদারদেরও তাঁরা পরাজিত করবে। বিএনপির তারুণ্যের রোডমার্চটি যাওয়ার পথে নওগাঁর সান্তাহার রোড, বাইপাস ব্রিজ, আব্দুল জলিল চত্বর, মহাদেবপুরের নওহাটা মোড় ও মান্দার ফেরিঘাটে হাজার হাজার মানুষ রাস্তার দুই ধারে দাড়িয়ে বহরে থাকা নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান। তাঁরা বিভিন্ন স্লোগানসংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে নেতাকর্মীদের স্বাগত জানান।
Copyright © 2024 সকালের বাংলা. All rights reserved.