নাজমুল হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক :
১৯৮০ সাল থেকে, জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা ২৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ব পর্যটন দিবসকে আন্তর্জাতিক পালন হিসাবে উদযাপন করেছে । এই তারিখটি ১৯৭০ সালে সেই দিন হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছিল, ইউএনডব্লিউটিওর সংবিধি গৃহীত হয়েছিল।
এই সংবিধিগুলি গ্রহণ করা বিশ্ব পর্যটনের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসাবে বিবেচিত হয়। এই দিবসের উদ্দেশ্য হল আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে পর্যটনের ভূমিকা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং এটি বিশ্বব্যাপী সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক মূল্যবোধকে কীভাবে প্রভাবিত করে তা প্রদর্শন করা।
‘ট্যুরিজম অ্যান্ড পিচ’ বা 'পর্যটন শান্তির সোপান' -- এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে নানা কর্মসূচির মধ্যদিয়ে প্রতিবছরের মতো বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এই দিবসটি।
বিশ্ব পর্যটন দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন ও বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডসহ বিভিন্ন পর্যটন সংস্থা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
এছাড়াও, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক উপযোগিতাকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়াও এর অন্যতম উদ্দেশ্য। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।
এ উপলক্ষে গণমাধ্যমে বিভিন্ন নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে এবং সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে।
ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় বিশ্ব পর্যটন দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন অব্যাহত আছে। খুদে এসএমএস খুদেবার্তার মাধ্যমে দিবসটি নিয়ে বার্তা পাঠানো হয়েছে।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পর্যটনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও মানুষের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হয়; হয় সমঝোতা ও বন্ধুত্ব। যুদ্ধের অনুপস্থিতি শুধু শান্তি নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয়, অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত সহিংসতার অবসান ঘটিয়ে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টিতে পর্যটনের ভূমিকা অসীম।
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, এর অধীন দফতর-সংস্থা, ট্যুরিস্ট পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে --
১) সকাল ৮টায় রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে।
২) সকাল ৯ টায় পর্যটন ভবনের ‘শৈলপ্রপাত হলে’ দিবসের প্রতিপাদ্য নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে।
৩) হোটেল, মোটেল ও রেস্তোরাঁগুলো বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে বিশেষ ডিসকাউন্ট ঘোষণা করেছে।
৪) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে ‘Live Cooking Show’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।
৫) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে টিকিটে বিশেষ ছাড় ঘোষণা করেছে।
৬) শিশুদের মাঝে পর্যটনের সৌরভ ছড়িয়ে দিতে প্রতিটি জেলায় শিশুদের নিয়ে পর্যটনকেন্দ্রিক চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাপী পর্যটনের প্রচার ও প্রসারে ১৯৮০ সাল থেকে জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা ‘ইউএন ট্যুরিজম’ ঘোষিত এ দিবসটি সব সদস্য দেশে যথাযথ মর্যাদায় উদযাপিত হয়ে আসছে।