হেলাল শেখঃ বিশ্ব মানবাধিকার দিবস ২০২৩ইং পালিত। রবিবার (১০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং) জাতীয় প্রেসক্লাবে সামনে র্যালি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, এসময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যায়। এসময় বিভিন্ন সংগঠন ও সংস্থার মধ্যে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র উদ্যোগে র্যালি ও মানববন্ধন করা হয়, এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও জাতীয় দৈনিক চৌকস পত্রিকার প্রকাশক সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম, মহাসচিব ডাঃ হাছান আহমেদ মেহেদী, যুগ্ম—মহাসচিব অধ্যক্ষ মোঃ একরাম উল্লাহ, অর্থ সচিব মোহাম্মাদ কলিম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম হেলাল শেখসহ অন্যান্য কমিটির পরিচালকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, গাজীপুরের শ্রীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় বিশ্ব মানবাধিকার দিবস পালিত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থা’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও দৈনিক চৌকস পত্রিকার সম্পাদক এস এম নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের মানবাধিকার ক্রমেই অবনতির জন্য বিশ্ব মানবাধিকার সংস্থা গভীর উদ্বিগ্ন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইল যে ধারাবাহিক নৃশংস ও বর্বর হত্যাকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে তাতে তিনি গভীরভাবে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন। তিনি এখনই এই যুদ্ধ বন্ধের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। এসময় আরো বক্তব্য দেন সংস্থা’র মহাসচিব ডাঃ হাছান আহমেদ মেহেদী, যুগ্ম—মহাসচিব অধ্যক্ষ একরাম উল্লাহ, অর্থ সচিব মোহাম্মদ কলিম, ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ)সহ বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠনের পরিচালক এবং অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
হেলাল শেখ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়, শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, নারী ও শিশুদের নৃশংসভাবে যারা হত্যা করছে, এসব বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে ১০০টাকার পেঁয়াজ ২৪০ টাকা কেজি কিনে খাওয়া কঠিন, বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির কারণে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন, এসব বন্ধ করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে, সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান—রাষ্ট্র কেবল ধর্ম, বর্ণ শ্রেণী ও স্থায়ী বা অস্থায়ী দেখে না কিন্তু দেশের শহরগুলোতে বহিরাগত জেলার লোকজন কাজের সন্ধানে আসলে তাদের উপর কিছু স্থানীয়রা বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করে এবং সামাজিক ভাবে বিচার করে, বিচারকরা স্থানীয়দের পক্ষেই অবস্থান নিতে দেখা যায়।
বিশেষ করে অর্থ—সম্পদ ও বাড়ি, গাড়ির মালিকের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কিছু পুলিশ সদস্য বেশিরভাগ স্থানীয়দের পক্ষে কাজ করতে দেখা যায় কিন্তু দেশের সকল নাগরিক আইনের চোখে সমান—রাষ্ট্র কেবল ধর্ম, বর্ণ, শ্রেণী দেখে না। বাংলাদেশের প্রত্যেক নাগরিকই আইনের নিরাপত্তা ও আইনানুগ আচরণ লাভের অধিকারী। বিশেয়ত আইন অনুযায়ী কোনো নাগরিকের জীবন স্বাধীনতা, দেহ, সম্মান বা সম্পত্তির প্রতি ক্ষতিকারক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে না। সুবিচারের অধিকার ঃ প্রত্যেক নাগরিকই বিচার ও শক্তি সম্পর্কে উপযুক্ত রক্ষাকবচ বা নিরাপত্তা লাভ করবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত কতৃর্ক দ্রুত প্রকাশ্য বিচার লাভ করবে। কম্পিউটার বিসিএস প্রিলিমিনারী গাইড, ৭৪ পাতা থেকে সূত্র। ১৭, বিচার ও দণ্ড সংক্রান্ত অধিকার ঃ কোন নাগরিককে প্রচলিত আইন ভঙ্গ করার অপরাধ ব্যতীত দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না এবং আইনের নির্ধারিত দণ্ড ছাড়া অধিক দণ্ড দেয়া যাবে না।
রাজধানী ও ঢাকার প্রধান শিল্পা ল সাভার আশুলিয়ায় দেশের প্রায় ৬৪ জেলার মানুষ বসবাস করেন, বেশিরভাগ মানুষ পোশাক কারখানায় কাজ করেন, অন্য পেশায়ও আছেন অনেক মানুষ কিন্তু কিছু স্থানীয় বাড়ির মালিক ও প্রভাবশালীরা অন্যায়ভাবে বহিরাগতদের উপর হামলা করে, নির্যাতনসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড করে থাকে। এসব ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করতে গিয়েও নানারকম বাধার শিকার হয় অনেকেই। অনেক অভিযোগের তদন্তই করেন না কিছু পুলিশ অফিসার। ঢাকা—১৯ আসনে সাভার আশুলিয়ায় অনেক রাস্তার বেহাল অবস্থা। মানুষের কাজের মজুরির চেয়ে খরচ বেশি, রাস্তা—ঘাটে চলাচল করতে গিয়েও বিভিন্ন সমস্যা হয় সাধারণ মানুষের। শ্রমিক সাধারণের সামান্যতম ভুল হলে ক্ষমা না করে তাদের কর্মস্থল থেকে বেড় করে দেয়া হয়, বাসা বাড়ি ভাড়া ও দোকান খরচ না দিতে পারলে পাওনাদার তাদেরকে আটক রেখে তাদের উপর নির্যাতন করে। অনেকেই আইন নিজ হাতে তুলে নিয়ে মারপিটসহ হত্যার মতো ঘটনা ঘটায় এইরকমই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে যারা তাদেরকে আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য আহ্বান জানান। কিছু মানুষের বিবেক বলতে কিছু নেই। অনেকেই টাকার গরমে মানুষকে মানুষ মনে করেন না। ১৫ বছর আগে যাদের কিছুই ছিলো না, বর্তমানে অনেকেই শত শত ও হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক। আইন সবার চোখে সমান হলে এইসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় না? সমস্যা কি? আমরা সবাই আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে চলবো এই প্রত্যাশা করি সবার কাছে। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য আর আইন সবার জন্য সমান হোক। অপরাধীর কঠিনতম শাস্তি দাবী জানাচ্ছি, দোষী ব্যক্তির সাজা নিশ্চিত করার লক্ষে সবাইকে সচেতন হতে হবে বলে হেলাল শেখ সবার প্রতি আহ্বান জানান।