হেলাল শেখঃ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব সাহাবুদ্দিন মহোদয়। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মহামান্য রাষ্ট্রপতির সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ৫ম বারের মতো সংসদীয় আসন-২১৭ গোপালগঞ্জ-৩ কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) আসন থেকে নৌকা মার্কায় বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন, এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয় শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। শুধু বাংলাদেশের ইতিহাসে নয় বিশ্ব নেতাদের মধ্যে প্রভাবশালী সাহসী প্রধানমন্ত্রী ৫ম বারের মতো দায়িত্ব নেয়ায় বিশ্ব রেকর্ড করলেন শেখ হাসিনা।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার ঢাকা বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম জয় (হেলাল শেখ) বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের যোগ্য কন্যা মাটি ও মানুষের নেতা ৫ম বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে বিশ্ব নেতা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ৫ম বারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-বাকিটা ইতিহাস। সেই সাথে পাবনাবাসীর গর্ব দেশের সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম বিশ্ব নেতা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এবার মহামান্য রাষ্ট্রপতির বিষয়ঃ
পাবনার ইতিহাস ও স্মরণকালের একটি নাম মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়। উত্তরবঙ্গের জেলা পাবনাবাসী প্রথমবারের মতো দেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে পেয়েছেন জনাব সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে। তিনি দলমত নির্বিশেষে জনসাধারণের প্রিয় মানুষ এখন রাষ্ট্রের অভিভাবক, সর্বোচ্চ ব্যক্তি। নিজ জেলায় গৌরবময় এমন প্রাপ্তিতে সম্মানিত হয়েছেন পাবনাবাসী। কেউ ভাবতেও পারেননি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু রাষ্ট্রপতি হবেন, আল্লাহ চাইলে সবকিছুই সম্ভব। তাই আল্লাহর রহমতে আমরা পেয়েছি মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়কে তাই এই ২০২৪ ইং সালে নতুন সরকারের সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন।
মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিজ জেলায় গত (৩ মে ২০২৩ইং) পাবনা সফর সূচী প্রকাশ করা হয়। রাষ্ট্রপতির প্রটোকল অফিসার মোঃ নবীরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে এই তথ্য জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি ১৫ মে, ২০২৩ইং বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে ঢাকার তেজগাঁও হেলিপ্যাড থেকে হেলিকপ্টারযোগে পাবনার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেন। দুপুর ১টার দিকে তিনি পাবনা সার্কিট হাউসে উপস্থিত হয়ে সোয়া ১টায় গার্ড অব অনার গ্রহণ করেন। দুপুর ১টা ২০ মিনিটে পাবনা জেলা পরিষদ বঙ্গবন্ধু চত্বরের নামফলক উদ্বোধন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। দুপুর ১টা ৩০মিনিটে পাবনার সবচেয়ে বড় পাবনা আরিফপুর কবরস্থানে উপস্থিত হয়ে রাষ্ট্রপতির বাবা মায়ের আত্মার মাগফিরাতের জন্য কবর জিয়ারত করে দোয়া করেন। বিকেল ৪টায় পাবনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বঙ্গবন্ধু কর্ণার এবং বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন করেন, শেষে জেলার আইনজীবীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এরপর গত (১৬ই মে ২০২৩ইং) সকাল ১০টায় পাবনার সরকারি এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় নাগরিক গণসংবর্ধনা গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও কোনো কারণে সময় পরিবর্তন করে বিকেলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি। এর মধ্যে পাবনা প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি। এরপর ১৭মে বুধবার পাবনা ডায়াবেটিক সমিতির অফিস পরিদর্শন করার পর বিকেল ৫টায় বীর মুক্তযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বিনোদন পার্ক পরিদর্শন করবেন রাষ্ট্রপতি। বৃহস্পতিবার (১৮ মে ২০২৩ইং) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনা থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন মহামান্য রাষ্ট্রপতি মহোদয়। রাজশাহী বিভাগের বৃহত্তর পাবনা জেলার কৃতি সন্তান-পাবনাবাসীর গর্ব-বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় বাংলাদেশের ২২তম মহামান্য রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন, প্রায় এক বছর হতে যাচ্ছে, তাঁর সাহসী ভুমিকা ও সততার উপহার হিসেবে গৌরবময় এমন প্রাপ্তিতে পাবনাবাসী গর্বিত-বাকিটা ইতিহাস। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় পাবনায় আগমন করছিলেন। বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক হিসেবে তিনি তাঁর সর্বোচ্চ কর্মদক্ষতা দিয়ে দেশকে আরো উন্নত ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন, সেই সাথে পাবনা জেলা সংযুক্ত করে ২য় পদ্মা সেতু মানিকগঞ্জের আরিচা-পাবনার কাজিরহাট ও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ত্রিমুখী ২য় পদ্মা সেতু একমাত্র চাওয়া ও প্রত্যাশা পাবনাবাসীর নিজ এলাকার রাষ্ট্রপতির কাছে।
পাবনার দলীয় নেতৃবৃন্দ অনেকেই বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে নতুন করে কিছু বলার নাই, তিনি আসলেই একজন ভালো মানুষ। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন গত (২৪ এপ্রিল ২০২৩ইং) তারিখ সকাল ১১টায় বঙ্গভবনে। এই নতুন রাষ্ট্রপতির শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’সহ এমপি মন্ত্রীগণ ও বিভিন্ন বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাগণ। সে সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সাহাবুদ্দিন মহোদয়কে রাষ্ট্রপতির পদে শপথ পাঠ করিয়েছেন। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা, মন্ত্রীপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশত বিশিষ্ট অতিথি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। উক্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মন্ত্রীপরিষদ সচিব মোঃ মাহবুব হোসেন। এরপর নতুন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়কে শপথ নথিতে স্বাক্ষর করেন। নতুন রাষ্ট্রপতির সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন জানান, শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ে রাজনীতিবিদ মোঃ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ২১তম রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর স্থলাভিযিক্ত হলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সাবেক রাষ্ট্রপতি মোঃ জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে ৪১ দিনসহ টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ১০ বছর ৪১দিন অতিবাহিত করার পরে অবসরে গেলেন তিনি। নতুন রাষ্ট্রপতি’র স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যগণ উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, সংসদ সদস্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, তিন বাহিনীর প্রধানগণ, কূটনীতিক, সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও উপর পদস্থ বেসামরিক এবং সামরিক কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানটি প্রত্যক্ষ করেন। এর আগে ৭৩ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রæয়ারি বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। ছাত্ররাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধা. আইন পেশা, বিচারকের দায়িত্ব, রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পালনের পর কর্মদক্ষতায় বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হয়েছেন মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু মহোদয়। উল্লেখ্য, ১৯৪৯ সালে পাবনা শহরের জুবিলি ট্যাস্কপাড়ায় (শিবরামপুর) জন্মগ্রহণ করেন মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। শহরের পুরাতন গান্ধী বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত, পড়ে রাধানগর মজুমদার একাডেমিতে চতুর্থ শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে ১৯৬৬ সালে এসএসসি পাশের পর পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন, এরপর শুরু করেন রাজনীতি। এরপর এডওয়ার্ড কলেজ থেকে ১৯৬৮ সালে এইচএসসি ও ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ (অনুষ্ঠিত ১৯৭২ সালে বিএসসি পাস করেন তিনি)। এরপর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৪ সালে ¯œাতকোত্তর এবং পাবনা শহীদ এ্যাডভোকেট আমিনুদ্দিন আইন কলেজ থেকে ১৯৭৫ সালে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। কলেজ জীবনে প্রবেশের আগেই ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে পাবনায় সাক্ষাৎ করেন সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পর প্রতিবাদী ছিলেন তিনি, এরপর এডওয়ার্ড কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, অবিভুক্ত পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি থেকে ছয় বছর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সেই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেব বর্তমানে মহামান্য রাষ্ট্রপতি।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সাংবাদিক সংস্থার পক্ষ থেকে মহামান্য রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন মহোদয়সহ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭ই জানুয়ারি ২০২৪ সালে বিজয়ী সকল সংসদ সদস্য-এমপি, প্রতিমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন। সেই সাথে সবার প্রতি দোয়া ও শুভকামনা রইলো।