আনোয়ার হোসেন.নিজস্বপ্রতিনিধিঃ বেনাপোল গতকাল বৃহস্পতিবার (৩রা জুলাই) রাত ১১ টা ৩০ মিনিটের দিকে বন্দর কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল গেট থেকে পাসপোর্ট সহ তাকে আটক করে বন্দরের নিরাপত্তাকর্মী সদস্য গন।
পাসপোর্টগুলো ভারত থেকে অবৈধভাবে দেশে আনার চেষ্টা করছিল ট্রাক চালক। গত ২৪ জুনে সার্বিয়ার ভিসা লাগানো হয়েছিল এই সব পাসপোর্টে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত কোনো দেশে যাওয়ার জন্য তারা সার্বিয়ার ভিসা লাগিয়েছিল ভারত থেকে।
বেনাপোল বন্দরের নিরাপত্তা সংস্থা আনসার কমান্ডার হেলালউজ্জামান জানায়, তাদের কাছে গোপন সংবাদ আসে, ভারত থেকে অবৈধ ভাবে বাংলাদেশের পাসপোর্ট পাঠানো হচ্ছে। এরপরে তারা বন্দরে নিরাপত্তা জোরদার বাড়িয়ে দেয় তারা। একপর্যায়ে সন্দেহ ভাজন ট্রাক চালক একটি ব্যাগ হাতে করে কার্গোভেহিকেল টার্মিনাল থেকে বের হওয়ার সময় তার ব্যাগ তল্লাশি করা হয়। এ সময়ে ব্যাগের মধ্যে থেকে ২০টি বাংলাদেশ পাসপোর্ট পাওয়া যায়। আটক ট্রাক চালক কে পাসপোর্ট সহ বন্দর থানা পুলিশে সোপর্দ করে।
জব্দ পাসপোর্টের মালিকরা হলেন: ঢাকার দানেশ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, গাজীপুরের আব্দুর রশিদের ছেলে আবুল হোসেন, মানিকগঞ্জের আবুল কাশেমের ছেলে শরিফুল ইসলাম, নোয়াখালীর আব্দুল মোতালেবের ছেলে আব্দুল কাদের, আলাউদ্দীনের ছেলে আব্দুল আজিজ, সাহেব উদ্দীনের ছেলে আব্দুর রহিম, অমল চন্দ্র দাসের ছেলে রুপম চন্দ্র দাস, সাতক্ষীরার রেজাউল ইসলামের ছেলে তানভির হাসান, নজরুল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম, নূর হোসেনের ছেলে পলাশ হোসেন, নুর মোহাম্মদ শেখের ছেলে জাকারিয়া, ইউনুছের ছেলে আবু সাঈদ, ফেনির মোরশেদ আলমের ছেলে আব্দুল করিম, নরসিংদীর বাতেন মিয়ার ছেলে ফাইম মিয়া, চাঁদপুরের মনোহরগাজীর ছেলে মোজাম্মেল হোসেন, নোয়াখালীর রফিউল্লার ছেলে ইমরান হোসেন, কিশোরগঞ্জের রিপন মিয়ার ছেলে অপূর্ব মিয়া, ঢাকার আব্দুল মাজিদের ছেলে ফয়সাল আহম্মেদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হাজি আব্দুল মান্নানের ছেলে ইসহাক ও সাতক্ষীরার খলিল গাজীর ছেলে হুমায়ন কবির।
এদিকে, পাসপোর্ট আটকের ঘটনা জানতে রাতে বেনাপোল বন্দরে ভিড় জমায় বিএনপি নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা। তবে এসব পাসপোর্টধারী কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী বা অন্য কোনো অপরাধী চক্র আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ বলে জানা গেছে।