ভারতের হাইকোর্টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে একটি মামলার শুনানিতে বিবাদী পক্ষের পুত্র আম্বালাল পাটেল শৌচাগার এ বসেই ভিডিও কনফারেন্স এ যোগ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । আদালতে এই রকম অবমাননাকর আচরণের জন্য গুজরাট হাইকোর্ট আসামী দাভলভাইকে তার পুত্রের কর্মকান্ডের জন্য ২ লক্ষ্য রুপি জরিমানা প্রদান করতে নির্দেশ দিয়েছেন ।
বিচারপতি এম কে ঠাক্করের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ৪২ বছর বয়সী দাভলভাইয়ের আচরণ সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য তিনি আরো মন্তব্য করেন এই ধরনের আচরণ আদালতের মর্যাদা হানি করে এবং এটি লজ্জাজনক নিন্দনীয় ঘটনা । আদালত যদি এই ধরনের ব্যাক্তির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যাবস্থা না নেয় , তাহলে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে আদাল্মতের সম্মান কমে যাবে।
ঘটনাটি গত ১৭ ফেব্রুয়ারির, যখন গুজরাট হাই কোর্টে শুনানিতে দাভলভাই ভার্চুয়াল মাধ্যমে কানুভাই নামে যোগ দেন। এই শুনানির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাইকোর্ট তদন্তের নির্দেশ দেয়ট।
সোলা থানার কাছে এই ঘটনার রিপোর্ট তলব করা হয়।
রিপোর্টে জানানো হয় , শুনানির সময় দাভল ভাই অসভ্য আচরন করেন তখন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হলে তিনি আবার যোগদানের জন্য চেষ্টা করলে আদালত নিষধ করেন ।
২৭ ফেব্রুয়ারি গুজরাট হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় , ৫মার্চ দাভলভাই ও তার বাবাকে আদালতে উপস্থিত থাকতে হবে।।
শুনানিতে দাভলভাইয়ের আইনজীবী জানায়, দাভলভাই ভুলক্রমে শৌচাগারে থেকে শুনানিতে যোগ দিয়েছেন এবং অনলাইন এ যোগদানের ব্যাপারে তেমন কোন প্রযুক্তিগত ধারণা রাখেন না। তবে আদালত এরূপ বক্তব্যকে তিরষ্কার করে । বিচারপতি বলেন…’’ দাভলভাই স্নাতক পাশ করেছেন এবং বেসরকারী সংস্থায় কর্মরত ,তার পক্ষে জুম কলের মাধ্যমে শুনানিতে যোগদানের পদ্ধতি অজানা থাকা সম্ভব না’’।
এই পরিস্থিতিতে গুজরাট হাই কোর্ট দাভল ভাইকে ২ লক্ষ্য টাকা জরিমানা প্রদান করতে নির্দেশ দেন ।
আদালতের এই কঠোর সিদ্ধান্ত বিচার ব্যাবস্থার মর্যাদা রক্ষায় সচেষ্ট বলে মনে করেন সাধারণ মানুষ।
সূত্র মুম্বাই টাইমস